‘ধূমপান মৃত্যুর কারণ’ জেনেও অনেকে বিড়ি-সিগারেট বা তামাক জাতীয় দ্রব্য ফুঁকেই যান। শরীরে রোগ দানা বাঁধতে শুরু করলে টনক নড়ে।
তখনই দেহে জমা হওয়া নিকোটিন ঝরাতে অনেকে সচেষ্ট হয়ে ধূমপান ছেড়ে দেন। কিন্তু ধূমপান ছাড়লেই কি আর দীর্ঘদিনের অত্যাচারের দাগ অর্থাৎ নিকোটিনের প্রভাব শরীর থেকে মুছে যায়? ধূমপান ছাড়ার পর সাধের দেহখানি নিকোটিনমুক্ত করতে আশ্রয় নিতে হবে প্রাকৃতিক উপায়ের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সেই উপায়গুলো জেনে নিন:
পানি
বলা হয়, ‘পানির অপর নাম জীবন’। ধূমপানের কারণে শরীরে যে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) দেখা দেয় তা মোকাবিলায় এবং নিকোটিন দূর করতে পানিই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
কমলালেবু
অত্যধিক ধূমপানের কারণে শরীরে মজুত ভিটামিন ‘সি’র পরিমাণ কমে যায়। কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে যা নিকোটিন সরিয়ে শরীরের বিপাকীয় কার্যকারিতাও (মেটাবলিজম) বাড়িয়ে দেয়।
গাজর
নিকোটিন ধূমপায়ীদের ত্বকের ক্ষতি করে। আর গাজর ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। গাজরে প্রচুর পরিমাণ ‘এ, সি, কে ও বি’ থাকে যা দেহ থেকে নিকোটিনকে চির বিদায় দেয়।
পালং শাক
পালং শাকের প্রচুর ফলিক অ্যাসিড দেহের নিকোটিন দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ব্রোকলি
ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ ও বি৫ থাকে। এই সবজি শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব দ্রুত কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়া নিকোটিন দূরীকরণে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফলমূল (বিশেষত কিউয়ি ফল যা নিউজিল্যান্ড ও চীনে পাওয়া যায়) ও ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ শাক-সবজি খাওয়া যেতে পারে।