পুষ্টিবিদের মতে, চিনি খেলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ-ব্যাধি। তবে মিষ্টি দেখলে আর লোভ সামলানো যায় না। অনেকেই মনে করেন চিনি ছাড়া চা, কফি খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই ভালো! স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা বর্তমান সাদা চিনির পরিবর্তে বাদামি চিনি ব্যবহার করছেন। তাতে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে কি না বলা মুশকিল, তবে এই চিনি রূপচর্চার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী!
চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের পরিচর্যায় বাদামি চিনির কিছু প্রাকৃতিক ব্যবহার—
ত্বকের মরা কোষ দূর করতে
ত্বকের মরা কোষ জেল্লা কমিয়ে রুক্ষ ভাব আনে। বাদামি চিনিতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে মরা কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ নারকেল তেল সামান্য গরম করে তার সঙ্গে দুই চা চামচ বাদামি চিনি মিশিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মরা চামড়া উঠে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
ত্বকের জেল্লা ফেরাতে
শুষ্ক ত্বকে জেল্লা ফেরাতে বাদামি চিনির জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দারুণ কার্যকর এ উপাদান। অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক চামচ চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। হালকা গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।
ট্যান দূর করতে
গরমে সূর্যের প্রখর তাপে বেরোলেই ত্বকে ট্যান পড়ে। দামি প্রসাধনী ব্যবহারেও ট্যান তুলা কঠিন। এ ক্ষেত্রে বাদামি চিনির ব্যবহারেই দ্রুতই এর সমাধান মিলবে। টমেটো দু’টুকরো করে, বাদামি চিনি লাগিয়ে মুখে ঘষুন। ত্বকের ট্যান দূর হবে। এতে উপস্থিত গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ঠোঁট ফাটার সমস্যায়
কেবল শীতকালেই নয়, অনেকেই সারা বছর ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। বাদামি চিনি ও বিটের রস একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে মালিশ করুন। হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ফাটা কমে ঠোঁট নরম তো হবেই, সঙ্গে লাল রং ধরে রাখবে বিটের রস।