প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটতে পারলে ওজন তো কমেই, ডায়াবেটিসের মতো রোগও বশে রাখা সম্ভব। কিন্তু তারও তো নির্দিষ্ট একটা পরিমাপ আছে কিংবা রয়েছে ধরনও।
‘পায়ে পায়ে আনন্দ’— শব্দবন্ধটি যে সারাজীবনের জন্য এমন সত্যি হয়ে দাঁড়াবে তা আগে কখনো মনে হয়নি। গবেষকরা বলছেন, হাঁটলে শরীর ভালো থাকে। খোলা হাওয়ায় হাঁটলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। নিয়ম করে হাঁটতে পারলে ওজন তো কমেই, ডায়াবেটিসের মতো রোগও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব; কিন্তু তারও তো নির্দিষ্ট পরিমাপ আছে, সেটি কী?
আপনাকে হাঁটতে বলা মানে লক্ষ্যহীনভাবে পথচলা নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, রোজ অন্তত পক্ষে পাঁচ হাজার পা হাঁটতে পারলে তবেই ইনসুলিন হরমোনের সেনসিটিভিটির ওপর প্রভাব পড়ে। যে কারণে রক্তে বাড়তি শর্করা বশে রাখার কাজটিও সহজ হয়।
তবে যাদের একেবারেই হাঁটার অভ্যাস নেই। তারা চাইলেই তো সকালে ঘুম থেকে উঠে পাঁচ হাজার পা হাঁটব বললেই হাঁটা যায় না। তার চেয়ে বরং ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগোনো যায়। প্রথমে এক-দুই হাজার পা হাঁটার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রতি দিন হাঁটতে শুরু করুন। খুব বেশি নয়, সারা দিনের মধ্যে মাত্র আধাঘণ্টা হাঁটতে পারলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। শুধু নিজের ইচ্ছে বা খেয়ালখুশিতে হাঁটলে হবে না। ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই হলো আসল কাজ।
আপনার একবারে পাঁচ হাজার পা হাঁটার কোনো প্রয়োজন নেই। একেবারে কষ্ট না করে তিনবারে ভাগ করে সারা দিনে পাঁচ হাজার পা হাঁটুন। যেমন অনেকেই রাতে খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাটি করেন। এ ক্ষেত্রে যদি প্রতিবার ভারি খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হেঁটে নেওয়া যায়, তা হলে ‘পোস্টপ্রানডিয়াল’ বা ‘পিপি’ অর্থাৎ খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
গবেষকরা বলছেন, প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট ‘ব্রিস্ক ওয়াক’-এর অভ্যাস করতে পারলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।