English

26 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

রোজায় পানিশূন্যতা রোধে শুধুই কী পানি যথেষ্ট?

- Advertisements -

রোজায় সারা দিনে গলা শুকিয়ে যাওয়া কিংবা শরীরে সারা দিনের পানিশূন্যতা রোধে কখনো এমনও হয় যে সাহরিতে পরিমিত খাবার খাওয়ার পরিবর্তে পেট ভরে ফেলি আমরা পানি খেয়ে। আমাদের ভাবখানা এমন হয় যে, এই পানি সারা দিন গলা ভেজাবে আমাদের। তবে রোজায় খাদ্যাভ্যাস ও মেন্যু বাছাইয়ে সামান্য পরিকল্পনা আর পরিবর্তনই পারে আপনাকে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে।

কারণ

শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা তখনই দেখা দেবে, যখন শরীর পানি গ্রহণের চেয়ে পানি বের হবে বেশি।

আর সে জন্যই রোজায় আমাদের ইউরিন আউটপুট অনেক কমে আসে।

পানিশূন্যতার লক্ষণ

–    দুর্বলতা

–    প্রচণ্ড তৃষ্ণা লাগা

–    মুখ শুকিয়ে যাওয়া

–    বুক ধড়ফড় করা

–    মূর্ছা যাওয়া

–    অবসাদ ভর করা

করণীয়

পানিশূন্যতা কাটিয়ে উঠতে সাহরি ও ইফতারে শুধু পানি খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া যাবে না। কারণ পানি খাওয়ার পর শরীরের কোষের মধ্যে সরবরাহের পর অবশিষ্ট পানি ইউরিনের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তাই রোজায় ভুসিসমেত আটা বা লাল আটা, লাল চাল, ওটস, চিড়া, বাদাম, মিক্সড ডাল, সিরিয়াল, শাকসবজি, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও ফল খেতে হবে। যেন আস্তে আস্তে ভেঙে খাবারগুলো সারা দিন এনার্জি দিয়ে যায় আপনাকে।

ইফতারে প্লেটে রাখুন খেজুর, কয়েক পদের ফল, শসা, দই, চিড়া, মাছ বা মাংসের কাবাব, লাচ্ছি, মাঠা, লাবাং, ছানা, আখের রস, ডাবের পানি, আখের গুড়ের সরবত, লেবু পানি, কিছু বাদাম, সবজি খিচুড়ি প্রভৃতি।

সাহরিতে খেতে পারেন দুধভাত। কিংবা এক কাপ ননি তোলা বা লো ফ্যাট দুধ। আদা পানি বা জিরা পানিও খেতে পারেন। রাতের খাবার ও সাহরিতে নির্বাচন করুন সহজপাচ্য খাবার। ভুনা তরকারির বদলে বেছে নিন সবজি ও মাছের ঝোল। শেষ পাতে খান এক কাপ টকদই। এই পরিকল্পনাগুলো সারা দিন আপনার শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখবে।

পরামর্শ দিয়েছেন

শায়লা শারমীন

সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল, ঢাকা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন