রমজানে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে এমনভাবে পানি ও তরল খাবার খেতে হবে যেন ২৪ ঘণ্টার পানির চাহিদা মিটে যায়। তাই বলে সেহরির শেষ সময় একসঙ্গে অনেক বেশি পানি পান করবেন বিষয়টা এমন নয়। বরং শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য আপনাকে পানি পান করতে হবে ধাপে ধাপে। পানি ও তরল খাবারের পাশাপাশি খেতে হবে ফলমূলও, যেন দেহে পর্যাপ্ত পানি থাকে।
রোজায় শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ
>> বেশি বেশি তৃষ্ণা পাওয়া।
>> গলা শুকিয়ে যাওয়া।
>> ক্লান্ত বা দুর্বল লাগা
>> মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
>> বুক ধড়ফড় করা।
>> মূর্ছা যাওয়া বা মাথা ব্যথা করা।
রোজায় শরীরের পানিশূন্যতা কমাতে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত-
>> ইফতারে পরিমিত পানি পান করুন। এসময় খেতে পারেন ফল, শসা, খেজুর, দই, দই-চিড়া, কলা-দই-চিড়া, লাচ্ছি, লাবাং, মাঠা, বিটের জুস, ডাবের পানি, লেবু-পানি, আখের গুড়ের শরবত, তরমুজ ও স্ট্রবেরি স্মুদি, বেলের শরবত। এসব পানীয় শরীরের পানিশূন্যতা কমাতে সহায়তা করবে।
>> ইফতারে অল্প চিনি ও লবণের তৈরি খাবার খান। ইফতারে চা–কফির পরিবর্তে জিরা-পানি বা আদা-পানি পান করতে পারেন।
>> ইফতারের পর সাহরির আগ পর্যন্ত যতক্ষণ জেগে থাকবেন, অল্প অল্প করে পানি পান করুন। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকবে।