পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, যাতে শরীর ও চোখ আর্দ্র থাকে। পানিশূন্যতা থাকলে চোখ শুষ্ক ও ক্লান্ত লাগতে পারে।
চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখুন: চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে কৃত্রিম চোখের পানি (আই ড্রপ) ব্যবহার করুন। রোজায় অনেকের চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। চোখের শুষ্কতা দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
চোখ বারবার রগড়ানো এড়িয়ে চলুন: চোখ বারবার রগড়ানো এড়িয়ে চলুন, এতে চোখের সংক্রমণ হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: তারাবি নামাজ বা সাহরির কারণে ঘুমের ঘাটতি হলে চোখ লাল বা ফুলে যেতে পারে। প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
স্ক্রিনের ব্যবহার কমান: দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখের ক্লান্তি বেড়ে যায়। স্ক্রিনের দিকে তাকানোর সময় প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ড বিরতি নিন এবং ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকান (২০-২০-২০ নিয়ম)।
সরাসরি সূর্যালোক থেকে চোখ রক্ষা করুন: বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন, যাতে রোদ ও ধুলোবালি থেকে চোখ সুরক্ষিত থাকে।
অতিরিক্ত চা-কফি এড়িয়ে চলুন: ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় (চা, কফি, সোডা) বেশি পান করলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।
চোখে আরামদায়ক ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন: দিনে ২-৩ বার ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে চোখ সতেজ থাকবে এবং ক্লান্তি দূর হবে।
ধুলাবালি ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন: রোজায় বাইরে চলাফেরার সময় ধুলাবালি থেকে বাঁচতে সানগ্লাস বা চশমা পরুন।
ধোঁয়া বা দূষিত পরিবেশে কম থাকার চেষ্টা করুন, কারণ এটি চোখের অ্যালার্জি বা শুষ্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
যদি চোখ বেশি লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয় বা ঝাপসা দেখেন, তাহলে দেরি না করে চোখের ডাক্তার দেখান।