English

26.5 C
Dhaka
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
- Advertisement -

রূপচর্চায় কোন তেলের কী কাজ

- Advertisements -

আদিকাল থেকে রূপচর্চায় তেলের ব্যবহার চলে আসছে। এই তেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। এদের কেউ চুল মজবুত করে, কেউ অ্যাকনে কমায়, কেউ বা ত্বক আর্দ্র রাখে, আবার কেউ ত্বক এবং চুল উভয় ক্ষেত্রেই সমান ভূমিকা পালন করে। তাদের গুণাগুণগুলোও চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

জোজোবা অয়েল : আজকাল এর ব্যবহার এতটাই বেড়েছে যে, সবাই মোটামুটি এর সঙ্গে পরিচিত। এর সঙ্গে মানবদেহের সিবামের বেশ মিল রয়েছে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ই, আয়োডিন, তিন ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এই তেলে। স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে বলে যে কোনো ধরনের ত্বক এবং চুলের জন্য ভালো।

ক্যাস্টর অয়েল : এই তেল আর পাঁচটা তেলের তুলনায় ভারী। পাতলা চুলের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা অবিলম্বে এই তেল ব্যবহার করতে শুরু করুন। ফল পাবেনই। তেল ভারী হওয়ায়, ত্বক আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এই তেল ইলাস্টিন এবং কোলাজেন সংশ্লেষে সাহায্য করে বলে, ত্বকের বয়সও রুখতে পারে।

আর্গান অয়েল : আজকাল বিভিন্ন প্রডাক্টে এই নামটার নতুন সংযোজন হয়েছে। আর্গান গাছের ফলের বীজ থেকে তৈরি হয় এই তেল। এর ময়েশ্চারাইজেশন নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তো রয়েছেই। এতে রয়েছে এমোলিয়েন্ট, সিকাট্রিজ্যান্ট ইত্যাদি উপাদান, যা আর্দ্রতা প্রদানের সঙ্গে ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।

টি-ট্রি অয়েল : গত কয়েক বছরে, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতার জোরে বেশ পরিচিতি পেয়েছে এই তেল। যে কোনো ফাঙ্গাল ইনফেকশন, কিংবা ড্যানড্রফ, সব কিছুর মোকাবিলাতেই এই তেল অব্যর্থ। ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এই তেল। মনও রিল্যাক্স করে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল : সুগন্ধি, সুন্দর এবং বিচিত্র। এতে থাকে ভিটামিন এ, সি এবং ক্যালশিয়াম। মুড রিল্যাক্স করা, মাথা ব্যথা কমানো, অনিদ্রা দূর করার মতো ক্ষমতার পাশাপাশি এই তেল অ্যাকনে নির্মূল করে, কমপ্লেকশন উজ্জ্বল করে এবং চুলের পক্ষেও ভালো।

অলিভ অয়েল : এক কথায় সর্বগুণসম্পন্ন তেল। স্বাদে-গুণে সেরার সেরা। ভিটামিন-ই এবং এ তো রয়েছেই, সঙ্গে আছে ওলিওক্যান্থল, যা অন্যতম প্রধান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্য তো এক কথায় ম্যাজিক পোশন। ত্বক থেকে চুল উভয়েই কেরামতি দেখায়। পাশাপাশি কমপ্লেকশন উজ্জ্বল করতেও এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

আমন্ড অয়েল : মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ এই তেলে থাকে ভিটামিন-ই। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ফাইটোকেমিক্যাল, যা শরীরের জন্য খুবই ভালো। ত্বকের দাগ-ছোপ হালকা করতে, মৃত কোষ দূর করতে এর জবাব নেই।

সেসমি অয়েল : খাঁটি বাংলায় তিলের তেল। ভিটামিন বি ৬, থিয়ামিন, প্রোটিন, ফাইবার, এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস কী নেই! হার্ট থেকে ব্লাড সুগার, সবদিকেই নজর এর। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়িয়ে টান টান রাখতেও এর জুড়ি নেই।

স্যান্ডেলউড অয়েল : চন্দনের গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি অবগত। আর এই বহুগুণসম্পন্ন গাছের তেলও তারই পথিকৃত। ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে, শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন