ফ্রিজের কল্যাণে সহজেই খাবার সংরক্ষণ করা যায়। তবে ফ্রিজে রাখা মুরগির মাংস কতদিন ভালো থাকে বা তা আদৌ খাবার উপযোগী আছে কিনা সে বিষয়ে অনেকেই সচেতন নন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক পোর্টাল হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রোটিনের জন্য মুরগির মাংস স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু একটি উৎস হলেও, এই মাংস ব্যাকটেরিয়া দূষণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। এ কারণে মুরগির মাংস সঠিকভাবে প্রস্তুত করা, সংরক্ষণ করা ও রান্না করা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, এটি খাদ্যজনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইএসডিএ) তথ্য মতে, রেফ্রিজারেটরে মুরগির মাংস ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা সাড়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করা যায়। এই অবস্থায় রাখা হলে রান্নাকৃত মুরগির রান্না মাংস ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। আর মুরগির কাঁচা মাংস সর্বোচ্চ ২ দিন পর্যন্ত সতেজ থাকে।
মুরগির কাঁচা মাংস ফ্রিজে রাখতে গেলে বেছে নিতে হবে ছিদ্রহীন পাত্র। যাতে নিঃসৃত রস ফ্রিজের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশে না যায়। আর রান্না করা মাংসের ক্ষেত্রে বায়ুরোধী কোনও পাত্রের মধ্যে রাখা যেতে পারে।
মুরগির মাংস বেশিদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজারে বা ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ভালো। কাঁচা মুরগির টুকরো ৯ মাস পর্যন্ত ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা যায়, গোটা মুরগি ১ বছর পর্যন্ত হিমায়িত করা যেতে পারে। রান্না করা মুরগি ২ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা যায়।
মুরগির মাংস নষ্ট হয়ে গেলে যেভাবে বুঝবেন
মুরগির মাংস দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখলে, তা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে তা না খাওয়াই ভালো। এতে ‘ফুড পয়েজনিং’ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ফ্রিজে রাখা মাংস নষ্ট হয়ে গেছে কিনা, তা বোঝার কয়েকটি উপায় জেনে নিন এবার।
তারিখের দিকে নজর দিন: ইউএসডিএ অনুযায়ী, কাঁচা মুরগির মাংস কিনে আনার পরপরই ফ্রিজে রাখার সময় থেকে দুয়েক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এর মধ্যেই রান্না করতে হবে।
গন্ধে পরিবর্তন: কাঁচা কিংবা রান্না করা মুরগির উভয় ধরনের মাংসই নষ্ট হয়ে গেলে অ্যামোনিয়ার মতো অম্লীয় গন্ধযুক্ত হয়। তবে মাংস যদি সস বা মসলা দিয়ে ম্যারিনেট করা থাকে, তাহলে গন্ধের এই পরিবর্তন বোঝা কঠিন হতে পারে।
টেক্সারে পরিবর্তন: মুরগির মাংস নষ্ট হলে অনেক বেশি পিচ্ছিলভাব অনুভূত হয়। এমন দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ মাংস ধুয়ে ফেললেও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে না। বরং ধোয়ার ফলে অন্যান্য খাবার, পাত্রে এবং পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।