এমনকি ঘুমের ঠিক আগে অনেকেই এমন কিছু ভুল করে ফেলেন যে কারণে রাতে বারবার ঘুম ভাঙতে পারে। জেনে নিন কারণগুলো কী কী-
অনেকেই রাতে খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়েন। এটি কিন্তু মারাত্মক একটি ভুল অভ্যাস। রাতের খাওয়া শেষ করার অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে হবে।
ভরপেটে ঘুমিয়ে পড়লে শরীরের বিপাক হার কমে যায়। ফলে খাবার হজম হতে সময় নেয় ও রাতে ঘুমে অসুবিধা হয়। তাই রাতের খাবারের পরপরই ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন।
বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করা
ঘুমের আগে সব ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করা বন্ধ করুন। অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে শুয়ে শুয়ে ফোন ব্যবহার করেন কিংবা টিভি দেখেন। এসবের বদলে হালকা যোগাসন করুন।
একই সঙ্গে শ্বাসের ব্যায়াম বা ধ্যান করুন। ঘুম না আসলে পছন্দের বই পড়ার অভ্যাস করুন। দেখবে দ্রুত ঘুম চলে আসবে। এমন ঘুম গভীর হয়।
ক্লান্তি নিয়ে ঘুমানো
রাতে ঘুমানোর আগে খানিকটা সময় নিজের জন্য বের করুন। এ সময় রূপচর্চা করতে পারেন। একই সঙ্গে গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এতে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে।
ঘুমানোর আগে দুশ্চিন্তা করা
অনেকেই রাতে শুয়ে শুয়ে বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়ের সঙ্গে ফোনে গল্প করেন। এ সময় হতাশা, রাগ, দুঃখ প্রকাশ করেন অনেকেই। জানেন কি, নেতিবাচক চিন্তার কারণেও আপনার ঘুমে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
তাই ঘুমানোর আগে মনে শান্তি আনুন ও ইতিবাচক চিন্তা করুন। দেখবেন দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েছেন। আর এমন ঘুমও গভীর হবে। ফলে বারবার রাতে ঘুম ভাঙার আশঙ্কাও থাকবে না।
টাইট পোশাক পরা
ঘুমানোর আগে অবশ্যই আরামদায়ক পোশাক পরুন। এখন যেহেতু গরম, তাই পাতলা সুতির কাপড় পরে ঘুমান। আবার চুল বেশি টাইট করে বেঁধে ঘুমাবেন না। এতে চুল ঝরবে বেশি আবার মাথাও ব্যথা হবে।
ভালো ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। অন্যদিকে অনিদ্রা কিংবা ঘুমের সমস্যা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ডেকে আনে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে অনিদ্রার সমস্যা বিশ্বের ছোট-বড় সব সয়সী মানুষই কমবেশি ভুগছেন। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন।