হাতের সঙ্গে রাগ কমানোর একটা সম্পর্ক বের করেছেন। তারা দেখিয়েছেন যখন প্রচণ্ড রাগ হয়, তখন সেই রাগান্বিত ব্যক্তি যদি হাত দিয়ে লেখালেখি করেন তাহলে রাগের উপশম হয়।
শুধু অনুমান বা ধারণার বশবর্তী হয়ে তাঁরা এ পরীক্ষা চালাননি। তাঁরা ১০০ জন শিক্ষার্থীর ওপর একটা পরীক্ষা চালিয়েছেন। সেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে লিখতে বলা হয়। তাঁরা সেগুলো নিজেদের মতো করে লেখেন।
এবার শিক্ষার্থীদের লেখাগুলো পড়েন গবেষকরা। লেখার মানের কথা বিবেচনা না করেই প্রত্যেককেই তাঁদের লেখার খুঁত ধরে অপমানজনক মন্তব্য করেন গবেষকেরা। ফলে প্রতিটা শিক্ষার্থী মনে মনে রেগে ওঠে।
এই অপমান তাঁদের মনে কী প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে, সেটা জানার জন্য, সেগুলো খাতায় লিখতে বলা হয়। তাঁরা খাতায় সে সব পতিক্রিয়া লেখেন। এদের পঞ্চাশজনকে বলা হয়, তাঁদের লেখা প্রতিক্রিয়াগুলো ছিঁড়ে কুচি কচি করে ফেলতে। বাকিদের বলা হয়, লেখাগুলো একটা বাক্সে জমা করতে।
এরপর দেখা যায়, যারা কাগজগুলো কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলেছে, তাদের রাগ দ্রুত কমে গেছে। ব্যাপারটা গবেষকদের উৎসাহী করে তোলে। তারঁ ব্যাপারটি আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে আরও বড় গবেষণা করতে চান।
রাগ হলে আপনিও এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখবেন নাকি?
রাগ হলে রাগের কারণ, আর যার ওপর রাগ হচ্ছে তার বিষয়ে এখন আপনার ভাবনা কী কাগজে লিখে ফেলুন। তারপর সেগুলো কুচি কুচি করে ছড়ি দিন। রাগ কমে যাবে!