আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো হৃদপিন্ড। এর পিছনে অবশ্যই কারণ আছে। কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার, কার্ডিও ভাস্কুলার ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের মাধ্যমে হার্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব। যদিও বেশিরভাগ মানুনষ এই নিয়ম অনুসরণ করতে পারে না আর পরিণতিতে হার্টে দেখা দেয় সমস্যা। অনেক সময় আমরা এও বুঝতে পারিনা যে কী কী কারণে আমাদের হার্টের ক্ষতি হচ্ছে। এরকম কিছু অভ্যাস নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে।
দৈনন্দিন কাজের মধ্যে না থাকা:
অনেক কারণেই একজন মানুষ দৈনন্দিন কোন কাজে ব্যস্ত না থাকতে পারে। আবার আপনি এমন কোন ব্যবস্থা খুঁজে নাও পেতে পারেন যা আপনাকে ফিট রাখে। কিন্তু হার্ট ভালো রাখতে হলে আপনাকে কাজ করতে থাকতে হবে। এমন না যে জিম করতেই হবে। ধীরে ধীরে শুরু করুন। দিনের মধ্যে ২০ মিনিট সময় বের করে হাঁটতে পারেন যা হার্ট ভালো রাখে। হাঁটলে, দৌড়ালে বা খেলাধুলা করলে তা কোলেস্টেরল কম রাখে সেই সাথে ওজনও রাখে নিয়ন্ত্রণে।
ধূমপান:
ধূমপান শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এটি হার্টের অনেক ক্ষতি করে এবং দুর্বল হার্টের কারণে যে মৃত্যু হয় তার এক তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী ধূমপান।
কার্বন মনোক্সাইড হল সিগারেটের একটি প্রধান উপাদান এবং যা রক্তের গণণা কম করে এবং উচ্চ কোলেস্টেরল হ্রাস করে। ধূমপান কমালে সমস্যা সমাধান হয়ে যায় তবে ভালো হয় যদি সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যায়।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ:
কাজ, পরিবার বা অন্য কোনো কারণে হার্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতে পারে আর এতে করে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এ থেকে ধমনীর ক্ষতি হতে পারে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য অনেকে মদ্যপান করে, ধূমপান করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া করে যা সবই হার্টের আরও ক্ষতি করে। মানসিক চাপ কমার জন্য আপনার ব্যায়াম করা উচিত যার ফলে হরমোন নিয়ন্ত্রিত থাকে। এছাড়া মেডিটেশন, লেখালেখি, গান শোনা, পরিবার বা পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটালে মানসিক অবসাদ থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
জাঙ্ক ফুড:
আপনি যদি সারা সপ্তাহ জুড়ে কাজ করেন এবং তাহলে আপনার অস্বাস্থ্যকর, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এবং ঘনঘন বাইরে খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি আরেকটি ক্ষতিকারক অভ্যাস যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের বাড়িয়ে দেয়। এজন্য খাবার খাওয়ার আগে মেনুতে খাবারের উপাদানগুলো দেখে নিন আর যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
অ্যালকোহল:
হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি কারণ হলো অ্যালকোহল গ্রহণ করা। এটি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাকে ট্রিগার করে যা থেকে অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং এ থেকে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ধমনীতে ব্লক ও ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য অ্যালকোহল পান করলেও তা যেনো পরিমিত পরিমাণে হয়।