চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। প্রতিদিন কিছু চুল পড়া স্বাভাবিক, তবে অতিরিক্ত চুল পড়া উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু ভুল আছে যা চুল পড়া ত্বরান্বিত করে।
বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। যেমন-হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, নানা ধরনের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, বংশগত এবং পুষ্টির ঘাটতি। দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনলেই চুলের পড়া প্রতিরোধ করতে পারেন।
চুলের স্টাইল পরিবর্তনে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার: চুলের স্টাইল করতে আজকাল অনেকেই নানা ধরনের যন্ত্রপাতি যেমন- স্ট্রেইটনার, কার্লিং আয়রন এবং হেয়ার ড্রায়ারার ব্যবহার করে। খুব ঘন ঘন এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হয় এবং চুল পড়া বাড়ে। এই যন্ত্রপাতির তাপ চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে চুল ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এ কারণে চুলের যত্নে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার সীমিত করা এবং প্রাকৃতিক চুলের স্টাইল বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ভুলভাবে চুল পরিষ্কার: ভুলভাবে চুল পরিষ্কার করলে চুল পড়া বাড়ে। অনেকেই চুল ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করেন, যা মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল বের করে দেয় এবং শুষ্কতা সৃষ্টি করে। আবার ভুল শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারেও চুলের ক্ষতি হয়। এ কারণে চুল ধোয়ার জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করা, ধরন বুঝে হালকা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আঁটসাঁট করে চুল বাঁধা : আঁটসাঁট চুলের স্টাইল যেমন পনিটেল, বিনুনিও চুল পড়া বাড়াতে পারে। চুল খুব শক্তভাবে টানলে ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া হতে পারে। এতে চুল পড়াও বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে চুল ভালো রাখতে আঁটসাঁট চুলের স্টাইল এড়ানো এবং আলগা চুলের স্টাইল বেছে নেওয়া উচিত।
রাসায়নিক ব্যবহার : আজকাল অনেকেই চুল রঙ করান। কেউ কেউ চুল পারমিং, স্ট্রেটেনিংও করেন। এসব করতে চুলে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এসব রাসায়নিক চুলের গোড়া দুর্বল করে এবং চুল ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। এ কারণে চুলে রাসায়নিক ব্যবহার সীমিত এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা জরুরি।
খাদ্যাভাস: চুলের স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক খাদ্যাভাস খুবই গুরুত্বপর্ণ। প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের মতো পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন রাখা গুরুত্বপূর্ণ।