বাড়ির বয়স্কদের এক গ্লাস দুধ দিতেই হয়। বাচ্চার জন্যও জরুরি। কিন্তু আজকাল দুধেও মেশানো হয় ভেজাল। চকের গুড়া বা ডিটারজেন্ট—অনেক কিছুই মেশানো হয় দুধে। এই ভেজাল দুধ পেটে গেলে সমস্যা। উপকারের বদলে অপকারটাই অনেক। দোকান থেকে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের যে দুধ কিনছেন তা কি আসলেই ভালো? বাড়িতেই পরখ করে নেওয়া যাবে সহজে।
অল্প কিছুটা দুধ একটা বোতলে নিন। এবার বোতলটা জোরে জোরে ঝাঁকান। ফেনা উঠলে বুঝবেন দুধে ডিটারজেন্ট মেশানো আছে। আর যদি দেখেন ঝাঁকানোর পরেও ফেনা উঠছে না তাহলে বুঝতে হবে তাতে ভেজাল নেই।
প্যাকেট থেকে সামান্য একটু দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তাহলে এ দুধ খাঁটি। অশুদ্ধ হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না। ভেজাল দুধ পরীক্ষা করার এই পদ্ধতি অনেক আগে থেকেই গ্রামে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার শহরেও আপনার পরীক্ষা করার সুযোগ এসে গেল।
দুধ জ্বাল দিন বা গরম করার পর কি তা হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? তাহলে এটি খাঁটি দুধ হবে না। এই দুধে কার্বোহাইড্রেট মেশানো হয়েছে। আরেকটা পদ্ধতি আছে। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ নুন মেশান। যদি নুনের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
ইউরিয়া আছে কি-না
দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না তা ঘরোয়া উপায়ে পরীক্ষা করা কঠিন। তারপরও কাছাকাছি একটা রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে। সেজন্য এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছুক্ষণ রেখে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমাস নীল হয়, তাহলে বুঝতে হবে দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে।
গুঁড়ো দুধের বেলায়?
গুঁড়ো দুধেও ভেজাল মেশানো হয়। এমনিতেই এই দুধ হলদেটে। আবার কিছুটা মিহি সাদা। গুঁড়ো দুধের সঙ্গে ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভেজাল দুধ। গন্ধ-বর্ণ সব কিছু মিলে যায় আসল দুধের সঙ্গে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ভেজাল দুধ বানানোর জন্য যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, তার সবটাই শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।