অনেক সময় মাঠে-ঘাটে চলতে গিয়ে বোলতা বা মৌমাছির হুল বিঁধেছে অনেকের গায়ে। যারা এদের হুলের খোঁচা খেয়েছেন তারা ভালো ব্যথাও টের পেয়েছেন। মনে হয় আগুন লেগেছে। কারণ এটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।
ছোটখাট হলে:
১. আপনি যদি পারেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হুলটি উঠিয়ে ফেলুন। আঙ্গুলের নখ দিয়ে প্রথমে আস্তে আস্তে উপরে এবং পাশে আঙ্গুল বুলিয়ে নিয়ে দুই পাশ থেকে আচমকা চাপ দিয়ে বের করুন।
২. যদি চামড়ার ভিতরে বা নিচে চলে অথবা দেখা না যায় তাহলে হুল বের করার চেষ্টা না করাই ভালো। হুল নাও থাকতে পারে।
৩. যে জায়গায় কামড় দিয়েছে সেই জায়গাটা সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. ঠান্ডা পানি বা বরফের টুকরা সেই জায়গায় চেপে ধরে রাখতে পারেন। আরাম পাবেন। কারণ কামড় খাওয়ার পড়ে ওই জায়গাটি লাল হয়ে ফুলে আগুনের মত জ্বলতে থাকে।
মাঝারি বা বড় হলে
প্রথমেই ওপরে লেখা পদ্ধত্তিগুলো মেনে চুলুন। একই ভাবে ধাপগুলো মেনে চলতে হবে। তবে মৌমাছি বা বোলতাকে কখনো খামচে বা চিমটি দিয়ে তুলবার চেষ্টা করবেন না। কারণ, খামচানো বা চিমটি দেওয়ার কারণে বিষের থলি থেকে সব বিষ বেরিয়ে পড়ে এবং তা হুল দিয়ে আপনার শরীরে ঢুকে যেতে পারে। এরপর যা করবেন,
১. খুব ব্যথা হরে প্রয়োজনে ব্যথা উপশমের ওষুধ গ্রহণ করুন। লালচেভাব, চুলকানি বা ফোলাভাব কমাতে ক্যালামাইন লোশন লাগাতে পারেন। অথবা ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগাতে পারেন। ব্যথা বেশি হলে খেতে পারেন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ।
২. চুলকানি বা ফোলা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হলে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। এতে থাকে ডিফেনহাইড্রাইমাইন (বেনাড্রিল) বা ক্লোরফেনিরামিন।
৩. মৌমাছি এবং অন্যান্য পোকার কামড় অ্যানাফিল্যাক্সিসের একটি সাধারণ কারণ। আপনার যদি মৌমাছির হুল থেকে গুরুতর প্রতিক্রিয়া হয় তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। মৌমাছি বা অন্যান্য পোকামাকড়ের কামড় থেকে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন।
৪. হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথা ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয়। এমনকি শরীর ফুলে যাওয়া ও পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।