দেখতে ছোট হলে গুণের শেষ নেই আলুবোখারার। এই ছোট, লম্বাটে ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খনিজ, ভিটামিন ও ফাইবার। এসব উপাদানই শরীর সুস্থ রাখতে খুব প্রয়োজনীয়।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আলুবোখরা খেলে শরীরে ক্যালোরির মাত্রা অনেকটা কমে যায়। আরেকটা গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মিছরি, কিসমিস বা আলুবোখরা খান তাদের শরীরে ক্যালরির মাত্রা কমে গেছে। গবেষকদের মতে, আলুবোখরা খেলে যে শুধুমাত্র ক্যালরি গ্রহণ কমায় না, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।
ইউনিভার্সিটি অফ লিডসের অধ্যাপক তথা ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ ওবেসিটির প্রেসিডেন্ট জেসন সি জি হ্যালফোর্ড জানান, গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে, এই ধরনের খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এটি খেলে ক্যালরির মাত্রা অনেকটা কম শরীরে যায়। ডায়েটের ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
গবেষণার দ্বিতীয় পর্ব
এই গবেষণার দ্বিতীয় পর্যায়ে, গবেষকরা তাদের সম্পূর্ণ রিপোর্ট ওজন কমানোর উপর নজর রেখেছিলেন। এর জন্য ১২ সপ্তাহের জন্য মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যাদের একভাগকে আলুবোখরা দেওয়া হয় ও কিছু লোককে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো হয়। গবেষণার রিপোর্ট অনুসারে, ওয়েট ম্যানেজমেন্ট ডায়েটের ক্ষেত্রে আলুবোখরা যারা খেয়েছেন তাদের ওজন দ্রুত কমে গেছে।
গবেষণার শেষে দেখা গেছে, দুই দলের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য ছিল না। কিন্তু যারা নিয়মিত আলুবোখরা খেয়েছেন তাদের ওজন কমে গেছে অনেকটাই। যদিও যে দলটিকে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস দেওয়া হয় তারাও এমন কিছু অনুভব করেনি।
ক্যালিফোর্নিয়া প্রুন বোর্ডের এক পুষ্টিবিদ বলেছেন, গবেষণায় দেখা গেছে যে আলুবোখরা মধ্যে এমন একটি পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শুধুমাত্র ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে না। বরং এটি পেট ভরে রাখে দীর্ঘক্ষণ। এছাড়াও, এটি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের চেয়ে ওজন কমাতে সহজ করে তুলতে পারে। গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, ওয়েট ম্যানেজমেন্ট ডায়েটের ক্ষেত্রে আলুবোখরা বা প্রুন স্ন্যাকস গ্রহণে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায় না। সূত্র : এই সময়, হেলথলাইন