অনেকের ধারণা, সামান্য লিপস্টিক বা কাজলে কী বা ক্ষতি করে। তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। যা মোটেও উচিত নয়। সারা দিনের ক্লান্তির কারণে হয়তো মেকআপ তুলতে ইচ্ছা হয় না। কিংবা মেকআপের কথা ভুলে যান। এমনটা মাঝে মধ্যে হলে ঠিক আছে। কিন্তু অভ্যাস হয়ে গেলে ক্ষতিটা কিন্তু আপনার ত্বকেরই হচ্ছে। আসলে আমাদের ত্বক খুবই সেনসিটিভ। তাই সামান্য অনিয়ম হলে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। এ জন্য ঘুমানোর আগে মেকআপ তোলাটা খুবই জরুরি।
ঘুমানোর আগে মেকআপ না তুললে আমাদের ত্বকের ছিদ্র আটকে যায়। এতে ত্বকের ঘাম ঠিকমতো বের হতে পারে না। ফলস্বরূপ ত্বকের কোষে অক্সিজেন পৌঁছায় না। এ ছাড়াও আমাদের ত্বক থেকে সিবাম (এ ধরনের তৈলাক্ত তরল) নিঃসৃত হয়। যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। কিন্তু বেশিক্ষণ মেকআপ লাগানো থাকলে ত্বকের এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে মেকআপ না তুলে ঘুমানোর অভ্যাস হয়ে গেলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে। যা আমরা কেউই চাই না। সুতরাং ত্বকের এই সামান্য প্রয়োজনকে অবহেলা করা উচিত নয়। বরং ত্বকের হাইজিন নিয়ে সচেতন থাকলে ত্বক সুন্দর, সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে।
যা করবেন
সুস্থ, সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজন সঠিক যতœ। প্রতিদিন অন্তত দুবার ভালো ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। অবশ্যই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলে নেবেন, তা সামান্য কাজল হলেও। যাদের নিয়মিত ভারী মেকআপ নিতে হয়, তারা মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল করাতে পারেন। বাড়িতে ত্বক অনুযায়ী ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং করুন। মাসে অন্তত দুবার স্ক্র্যাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করবেন। কিন্তু যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা স্ক্র্যাবার ব্যবহার করবেন না। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক খুবই কোমল ও সেনসিটিভ। তাই চোখের মেকআপ আলতো করে মুছে ফেলবেন। চোখের মেকআপ তুলতে বিশেষ ক্লিনজার পাওয়া যায়। প্রয়োজনে সেটি ব্যবহার করতে পারেন।