মিষ্টি দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে? কখনও আনন্দে, কখনও অভ্যাসবশত, আবার কখনও বিভিন্ন অজুহাতে মিষ্টির দিকে হাত বাড়ানো হয়। মাসে এক-দুবার খেলে সমস্যা নেই, কিন্তু প্রতিদিন মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই। কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার রয়েছে যা মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ কমাতে সাহায্য করবে।
ফল
সব সময় হাতের কাছে এক বাটি ফল রাখুন। যখনই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করবে, তখনই ফল মুখে পুরে দিন। ফলের প্রাকৃতিক মিষ্টিতা মিষ্টির চাহিদা কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি এটি পুষ্টিতে ভরপুর। চিনি বাদ দিয়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস করলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আম বা আঙুরের মতো মিষ্টি ফল দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে কম মিষ্টি ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
ডার্ক চকলেট
মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে ডার্ক চকলেট খান। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করবে, আবার অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার প্রবণতাও কমাবে। ডার্ক চকলেটে পলিফেনল নামক উদ্ভিজ্জ যৌগ থাকে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী উপাদানসমৃদ্ধ। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তবে দুধ বা সাদা চকলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকলেট বেছে নেওয়াই ভালো, কারণ এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। তবে দিনে একবারের বেশি না খাওয়াই ভালো।
টক দই ও মধু
টক দইয়ের ওপর একটু মধু ছড়িয়ে দিন, কিংবা চাইলে এর সঙ্গে কিছু ফল মিশিয়ে নিন। এটি হবে মিষ্টির স্বাস্থ্যকর বিকল্প। দই প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
খেজুর
প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ও পুষ্টিকর হওয়ায় খেজুর মিষ্টির বিকল্প হতে পারে। চাইলে খেজুরের ভেতরে সামান্য পিনাট বাটার দিয়ে খেতে পারেন, যা স্বাস্থ্যকর ক্যান্ডি বারের মতো কাজ করবে। তবে খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকায় দিনে তিনটির বেশি না খাওয়াই ভালো।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি হলেও এটি পুষ্টিকর এবং খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়ামসহ নানা পুষ্টি উপাদান। সেদ্ধ করে ওপরে সামান্য চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে খেতে পারেন।
এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে মিষ্টির প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ কমবে এবং শরীরও থাকবে সুস্থ ও সচল।