সামনের মানুষটি যখন কথা বলছেন বা কোনো তথ্য দিচ্ছেন অনেক সময়ই আমরা বুঝতে পারি না, এটি সত্য না মিথ্যা। তবে এখন থেকে মিথ্যা বললে খুব সহজেই বোঝা যাবে।
দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক অধ্যাপক হানেইন এবং তার সহযোগী অধ্যাপক দিনো লেভি।তারা বলছেন, মিথ্যাবাদী আছে দু’রকম । এক দল আছেন মিথ্যা বলার সময় নিজের অজান্তেই যাদের চোখের ওপরের ভ্রু নড়াচড়া করতে থাকে ।
আরেক দল আছেন, মিথ্যা বলার সময় যাদের ঠোঁটের খুব সামান্য একটা নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না – যে সময় তাদের ঠোঁট তাদের গাল স্পর্শ করে।
অধ্যাপক হানেইন বলছেন, তারা যে সফটওয়্যার এবং এ্যালগরিদম তৈরি করেছেন তা ৭৩ শতাংশ মিথ্যা শনাক্ত করতে পারে এবং এখন তারা কাজ করছেন এ পদ্ধতিকে আরো উন্নত করার জন্য।
আপনি যখন মিথ্যে বলছেন এবং তা লুকানোর চেষ্টা করছেন, তখন আপনি চেষ্টা করেন যাতে আপনার শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া না হয়।
কিন্তু এই প্রযুক্তির হাত থেকে একটা মিথ্যাকে গোপন রাখা খুবই, খুবই কঠিন – যোগ করলেন অধ্যাপক লেভি। লেভি বলেন, এটা পরীক্ষার জন্য মুখের বাঁ পাশে কয়েকটা ইলেকট্রোড সেঁটে দিলে চোখ বন্ধ করে, কয়েক বার খুলতে হবে। এবার চোখ, হাসুন আর রিল্যাক্স করুন-একটু পরই আমরা বুঝতে পারবো আপনি একজন ভালো মিথ্যেবাদী না খারাপ মানুষ।