ত্বকের শুষ্কভাবই জানান দিচ্ছে যে, শীত আসছে। কিন্তু শীত এলে তারপর ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করলেই পড়তে হয় ঝমেলায়। কিন্তু, শীত আসার আগে থেকেই ত্বকের খেয়াল রাখা উচিত। যাতে ঠাণ্ডা পড়লে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট না হয়। সাধারণত এই মৌসুমে ময়েশ্চারাইজার মেখেই ত্বকের যত্ন নেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু যদি মাছের তেল ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার পাবেন অনেকগুণে।
অনেকেই মাছের তেল খান। কেউ-কেউ স্লাপিমেন্ট হিসেবেও মাছের তেল খেয়ে থাকেন। কারণ মাছের তেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই পুষ্টি দেহের জন্য অপরিহার্য। এটি হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। একইভাবে, ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে দিতে পারে মাছের তেল। ত্বককে কোমল রাখার পাশাপাশি যে কোনও ধরনের ক্ষতের হাত থেকেও রক্ষা করে মাছের তেল। ত্বকের ওপর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছের তেল ব্যবহার করলে কী উপকার পাবেন দেখে নিন।
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে : মাছের তেলের ওপর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষিত আস্তরণ তৈরি করে। এটি ত্বক থেকে পানি নিঃসরণ বন্ধ করে। পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের প্রদাহ কমায় : মাছের তেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি দেহের পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে একজিমা, সোরিয়াসিস বা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আদর্শ মাছের তেল। তা ছাড়া মাছের তেল খেলে আপনার পাচনতন্ত্রের প্রদাহও কমবে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, যা আপনার সুন্দর ত্বক গঠনেও সাহায্য করে।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে : মাছের তেল ত্বকের কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। এটি ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলোকে ধীর করে দেয়। অর্থাৎ, মাছের তেল ব্যবহারে বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা, দাগছোপ আপনার ত্বকের কাছেও আসবে না।
সূর্যালোক থেকে ত্বককে রক্ষা করে : সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আমাদের ত্বকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। যে কারণ সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। সানস্ক্রিনের পাশাপাশি মাছের তেল ব্যবহার করলে আপনি ত্বককে সান বার্ন ও শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি আপনি ডায়েটে মাছের তেল রাখেন এবং প্রতিদিন ত্বকে সানস্ক্রিন মাখেন।