সুযোগ পেলেই মশায় যে কাউকে কামড়ে রক্ত চুষে নেয়। তাই সবাই এটি থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু তারপরও অনেকের অভিযোগ, অন্যদের তুলনায় তাদেরই নাকি মশা বেশি কামড়ায়। ফলে তাদের মনে ডেঙ্গুর ভয় আরও বেড়ে যায়।
যাদের মশা বেশি কামড়ায়
১) ২০১৪ সালের একটি গবেষণা দেখা গিয়েছে, যাদের বেশি ঘাম হয়, তাদেরই মশা বেশি কামড়ায়। গবেষকদের মতে, ঘামের সঙ্গে নিঃসৃত ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়ার গন্ধ মশাদের বেশ প্রিয়। ঘামের সেই গন্ধের টানেই মশা বেশি কামড়ায়।
২) অন্তঃসত্ত্বাদের এই বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। অন্তঃসত্ত্বাদেরও তুলনায় বেশি মশা কামড়ায়। ওই সময়ে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সে কারণেই তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশারা।
৩) আপনার রক্তের টানেও মশা বেশি কামড়াতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষকেও মশা বেশি কামড়ায়। যেমন ‘ও’ গ্রুপের রক্ত। ‘ও পজিটিভ’ এবং ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তে বিশেষ ধরনের গন্ধ থাকে, যা মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে।
৪) পোশাকের রংও মশা কামড়ানোর অন্যতম কারণ। যেমন, গাঢ় কোনো রং কিংবা লাল-নীল রঙের পোশাক মশাদের বেশি পছন্দ। তাই গাঢ় পোশাক পরলে সাবধানে থাকতে হবে।
৫) শরীরের তাপমাত্রা যাদের একটু বেশি, যারা বিয়ার জাতীয় অ্যালকোহল খান এবং শরীর থেকে বেশি ঘাম নির্গত হয়, তাদের প্রতিও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।
তবে সব গবেষণারই ব্যতিক্রম রয়েছে। তাই মশা বেশি কামড়াক বা কম, ডেঙ্গুর মৌসুমে সতর্ক থাকতে হবে সব সময়ে। তাই অসতর্ক হতে চলবে না। শরীর ঢেকে পোশাক পরতে হবে। ঘুমানোর সময়ে মশারি ব্যবহার করতেই হবে। বাড়ির আশপাশটা পরিষ্কার রাখতে হবে, কোথাও পানি জমতে দেওয়া চলবে না। জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তপরীক্ষা করাতে হবে।