তার করা এ বিষয়ক গবেষণার তথ্য বলছে, কিছু মানুষকে বেশি মশায় কামড়ানোর কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। সসেল জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় ৬৪ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেন। তথ্য অনুসারে, মানুষের ত্বকের গন্ধই মশাকে অত্যধিক আকর্ষণ করে। এই ত্বকের গন্ধ কি?
ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, মশা খাদ্য খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ রিসেপ্টর ব্যবহার করে। যা শ্বাস ছাড়ার সময় কার্বন ডাই অক্সাইড ও ত্বকের গন্ধ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
মানুষের ত্বকে যে গন্ধের সৃষ্টি হয়, তা আসলে ঘটে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার ভাঙনের কারণে। মানুষভেদে তাদের ত্বকের ব্যাকটেরিয়াতেও পার্থক্য থাকতে পারে, যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের গন্ধের সৃষ্টি করে।
গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন, গায়ের গন্ধের উপর ভিত্তি করে মশা মানুষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। তবে তা মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
গবেষকরা আরও দেখেছেন, যাদেরকে বেশি মশা কামড়ায় তাদের ত্বকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি’ কার্বক্সিলিক অ্যাসিড পাওয়া গেছে। ত্বকের সিবাম (ত্বকে আবরণকারী তৈলাক্ত স্তর) এই অ্যাসিড উৎপন্ন করে।
এ বিষয়ে গবেষকরা আরও জানান, রক্তের গ্রুপও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ত্বকের গন্ধের পাশাপাশি নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপও মশার কাছে বেশি আকর্ষণীয়। মশারা নাকি এ গ্রুপের চেয়ে ও গ্রুপের রক্ত আছে যাদের শরীরে তাদের প্রতি বেশি আকর্ষিত হয়।
মশার কামড় থেকে রক্ষা পাবেন কীভাবে?
গবেষকরা জানান, মশা যদি আপনার প্রতি বেশিই আকর্ষিত হন তাহলে তেমন কিছু করেও তাদেরকে সরাতে পারবেন না। তবে কামড়ের ঝুঁকি এড়াতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।
এজন্য পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার করুন, বিশেষ করে যখন আপনি বাইরে যান। লম্বা-হাতা শার্ট ও লম্বা প্যান্ট পরুন। বাড়ির চারপাশে পানি যেন জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
মশা ফুলের সুগন্ধির মতো ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হতে পারে। তাই মিষ্টিজাতয়ি হন্ধ বা ফুলের পারফিউম কিংবা ডিওডোরেন্ট এড়িয়ে চলুন।