কোলেস্টেরল শুনলেই মাথায় নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। অথচ শরীরের জন্য কিন্তু এটি একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। বিপত্তি ঘটে তখনি যখন লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা বেড়ে যায়। খারাপ কোলেস্টেরল ধমনীতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে ক্লান্তি আনে। এর কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হয়। আপনি চাইলেই কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এর সমাধান রয়েছে রান্নাঘরে।
দারচিনি
দারচিনিতে থাকা সিনাম্যালডিহাইড নামক যৌগটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা এই শর্করার প্রভাব পড়ে ট্রাইগ্লিসারাইডের ওপর। শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মেথি
মেথিতে থাকা স্যাপোনিনস নামক যৌগটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটা সাহায্য করে।
আদা
আদায় থাকে জিনজেরলস ও শোগাওলস নামক দুটি যৌগ। এগুলো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে ধমনীতে মেদ জমতে পারে না সহজে।
হলুদ
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, কারকিউমিন যৌগটিই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ ‘এইচডিএল’-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
গোলমরিচ
এই মশলায় রয়েছে প্যাপরিন নামক একটি যৌগ। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গোলমরিচের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর যৌগ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।