সম্পর্ক গড়া ও ভেঙে যাওয়া জীবনের স্বাভাবিক বিষয়। আপনি যদি সম্পর্ক বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় পড়েন তাহলে এ বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত যে, সম্পর্ক ভাঙার কষ্ট যতই হোক না কেন, এটি একসময় লাঘব হবেই। যদিও এই সময় মানসিক অবসাদ, বাকি জীবন কীভাবে কাটাবেন, সেই নিয়ে উদ্বেগ থাকা স্বাভাবিক। এ সময় নিজের মনকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নিয়মিত কিছু অভ্যাস মেনে চলতে হবে।
জেনে নিন অভ্যাসগুলো
বিশেষ থেরাপি : এমন একটি পরিস্থিতি একা একা সবার পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। বিচ্ছেদের পর মানসিক পরিবর্তন হয় সব চেয়ে বেশি। শরীর সারাতে যেমন চিকিৎসকের সাহায্য লাগে, তেমন মনের জটিল সমস্যা বা ক্ষতগুলো সারাতেও কিন্তু দক্ষ একজন মানুষের প্রয়োজন হয়। তাই এই রকম সময়ে মনোবিদের সাহায্য নিয়ে, বিশেষ কিছু থেরাপির মধ্যে থাকাই ভালো।
শরীরচর্চায় মন দিন : জীবনে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, মনকে শান্ত রাখা প্রয়োজন। শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন নিয়মিত শরীরচর্চা করলে। শরীরচর্চা করলে শুধু শরীর নয়, মনও ভালো থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম বা মেডিটেশন করলে ‘হ্যাপি হরমোন’ ক্ষরণ বাড়িয়ে ক্ষতিকারক কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করা সম্ভব না হলে বাড়িতেও করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার : এ সময়টাতে অনেকেই মানসিক অবসাদ কাটাতে মুখরোচক খাবার খেয়ে ফেলেন। তবে অনিয়মিত এই জীবনযাপন শরীরের আরও ক্ষতি ডেকে আনে। বিচ্ছেদের কষ্ট সাময়িক। তা কাটিয়ে ওঠে নিজেকে ভালো রাখতে চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম : এমন পরিস্থিতিতে মন শান্ত না থাকাটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ দিনের অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে সময় তো লাগবেই। অনেকেই এ সময়টাতে একাকিত্বে ভোগেন। উদ্বেগের কারণে রাতে ঘুমও আসতে চায় না। কিন্তু অপর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান : স্মৃতি ভুলতে নিজের কিছু সময় অন্য কাজে ঢালুন। কঠিন সময়ে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। বিশ্বস্ত এমন একজন মানুষ জীবনে থাকা প্রয়োজন, যার কাছে মনের সব কথা বলা যায়।