শীতকালে প্রায় সব ঘরেই সপ্তাহে দুই-তিন দিন হলেও ফুলকপি রান্না হয়। এ সময় ফুলকপির রকমারি পদ মাছ-মাংসকেও টেক্কা দেয়। অনেক দোকানে শীতের সময় ফুলকপির শিঙাড়াও পাওয়া যায়।
তবে বাইরের খাবার বেশি না খাওয়াই ভালো। চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে ফেলতে পারেন ফুলকপির শিঙাড়া। কেমন করে তৈরি করবেন জেনে নিন রেসিপি-
১. ফুলকপি অর্ধেক
২. মাঝারি সাইজের আলু ২টি
৩. ময়দা পরিমাণমতো
৪. মটরশুঁটি
৫. আদা বাটা
৬. কসৌরি মেথি
৭. ভাজা মসলা
৮. গরম মসলা
৯. স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও চিনি
১০. মরিচের গুঁড়া
১১. হলুদ গুঁড়া ও
১২. তেল পরিমাণমতো।
পদ্ধতি
প্রথমে ফুলকপি ছোটো ছোটো করে কেটে ধুয়ে নিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে নিন। ফুলকপি আর আলুতে হলুদ ও লবণ দিয়ে মেরিনেট করে রেখে দিন কিছুক্ষণ।
কড়াইতে তেল গরম করে আলুর টুকরোগুলো দিয়ে ভালো করে ভাজুন। তারপর ফুলকপি আর মটরশুঁটি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিন। এবার হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। এর মধ্যে ভাজা মসলা আর গরম মসলা ১ চামচ করে দিয়ে দিন।
অর্ধেক কাপ পানি দিন। পানি পুরোপুরি শুকিয়ে না যাওয়া অবধি নাড়তে থাকুন। চেক করে নেবেন আলু ও ফুলকপি সেদ্ধ হয়েছে কি না। পানি একদম শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
এবার শিঙাড়ার তৈরির জন্য, একটি বাটিতে ময়দা, লবণ ও তেল দিয়ে ময়দা মাখতে থাকুন। একটু একটু করে পানি দিন। ময়দা মাখা হয়ে গেলে ১৫ মিনিট একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
১৫ মিনিট পরে ময়দা থেকে ছোটো ছোটো গোল আকারে লেচি বানিয়ে রাখুন। একেক করে ময়দার লেচি হালকা তেল দিয়ে বেলে নিন। তারপর মাঝখানে খানিকটা পুর দিয়ে শিঙাড়ার আকারে ভাঁজ করুন।
খুব সাবধানে শিঙাড়ার ধারগুলো বন্ধ করবেন, যাতে কোনো রকম ফাঁক না থাকে। কড়াইয়ে তেল গরম করে একেক করে সবগুলো শিঙাড়া ভেজে নিন। ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ফুলকপির শিঙাড়া।