চলছে শীতের আমেজ। এমন সময় রূপচর্চাতেও নিয়ে আসতে পারেন এই শীতলতা। বরফের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন ত্বকের লাবণ্য। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপ সংকুচিত করতে, মেকআপ ঠিক রাখতে এবং অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার সমাধান হতে পারে বরফ।
বিভিন্ন ফলের রস অথবা অন্য কোনো উপাদান দিয়ে বরফের কিউব বানিয়ে সেটা রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়। বিষয়টি সহজ, সময়ও বাঁচায়। কিশোরী বয়স থেকে যে কোনো ত্বকের অধিকারী বরফ কিউবের মাধ্যমে রূপচর্চা করতে পারবেন। যাঁরা মাথা ব্যথায় ভোগেন সাইনাস কিংবা মাইগ্রেনের কারণে, তাঁদের বেলায় শুধু নিষেধাজ্ঞা। বাইরে রোদ থেকে এসে ব্যবহার করা যাবে। আইস কিউব ব্যবহারে মেকআপ অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়।
ব্রণের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে বরফ। পরিষ্কার কাপড়ে কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে ব্রণের ওপর হালকা করে চেপে ধরতে হবে। এতে ব্রণ সংকুচিত হবে।
বরফ ঘষলে ত্বকে দীপ্তি ফিরে আসে। পরিষ্কারের পর এক টুকরা বরফ ঘষে নিলে ত্বকে স্নিগ্ধতা ফিরে আসবে। বরফ ঘষার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় তাই ত্বক সুস্থ থাকে। পাশাপাশি বলিরেখা দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও বরফ বেশ উপকারী।
ভ্রু প্লাক করার সময় বেশ ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই শুরুতে এক টুকরা বরফ ঘষে নিন। এতে ভ্রুর অংশ খানিকটা অবশ হয়ে আসবে। ফলে ব্যথা কম হবে।
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে চোখের নিচে ফুলে যেতে পারে। চোখের ফোলাভাব কমাতে বরফ চেপে ধরতে পারেন। যা চোখে আরাম দেওয়ার পাশাপাশি ত্বক করবে টানটান।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরও ত্বক পুড়ে যেতে পারে। রোদ থেকে ঘরে ফিরে ত্বকে খানিকটা বরফ ঘষে নিলে জ্বালাভাব কমে আসবে এবং পোড়াভাবও দূর হবে।
মেকআপের শুরুতে মুখে বরফ ঘষে নিলে তা লোমকূপ সংকুচিত করবে এবং ত্বক শীতল হবে। ফলে ত্বকে মেকআপ সহজেই বসে ও দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
নখে নেইলপলিশ লাগানোর পর চটজলদি শুকাতে বরফ ঠান্ডা পানিতে নখ ভিজিয়ে নিন।
রোদ, অ্যালার্জি, ওয়্যাক্সিং বা প্লাকিং ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ত্বকে লালচেভাব হতে পারে। এমন সমস্যায় বরফ কাপড়ে মুড়ে ত্বকে ঘষে নিন। লালচেভাব এবং র্যাশ কমে আসবে।
বরফ ত্বকের জন্য উপকারী। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে সরাসরি বরফ ঘষে নেওয়া উচিত নয়। চামড়ার নিচে থাকা সূক্ষ্ম শিরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বরফ কাপড়ে পেঁচিয়ে ত্বকে ঘষে নেওয়া নিরাপদ।