নাসিম রুমি: ৫০ পেরিয়েছেন মানেই দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে, এমন নয়। নিয়ম করে কয়েকটি খাবার যদি খান, তা হলে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বয়সকালেও ভাবতে হবে না।
কাজের চাপ বাড়লে তার প্রভাব যে শুধু শরীরের উপর পড়ে, তা তো নয়। চোখও সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৫০-এর পর থেকে চোখের জ্যোতি কমতে থাকে। দৃষ্টিশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে। অফিস থাকলে সারা দিনই প্রায় ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে হয়। তার উপর বাড়ি ফিরে মোবাইলে সিনেমা, সিরিজ় দেখা।
তার উপর আসা-যাওয়ার ফাঁকে সমাজমাধ্যমে চোখ বুলিয়ে নেওয়া তো আছেই। এত অযত্ন আর অবহেলার কারণে কম বয়স থেকেই চোখে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বয়স বাড়তে তা জাঁকিয়ে বসে। তখন চশমা ছাড়া গতি থাকে না। চশমা পরেও স্পষ্ট দেখতে পান না অনেকেই। ৫০
পেরিয়েছেন মানেই দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে, এমন নয়। নিয়ম করে কয়েকটি খাবার যদি খান, তা হলে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বয়সকালেও ভাবতে হবে না। বয়সের কোঠা ৫০ পেরিয়েছে? দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে কোন খাবারগুলি খেতেই হবে?
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসি়ড
চোখ ভাল রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জুড়ি মেলা ভার। শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থেকে। ভারতেও এখন পাওয়া যায় সার্ডিন, স্যামন কিংবা টুনা মাছ। এই ধরনের মাছের তেল চোখের জন্য খুবই উপকারী।
গাজর
চোখের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর গাজর। গাজরের বিটা-ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই জরুরি। নিয়মিত গাজর খেলে চোখে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে। ভিটামিন এ চোখের মণির যত্ন নেয়।
ভিটামিন সি
শুধু ভিটামিন এ থাকলেই তো হল না। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার ভিটামিন সি-ও। আর ভিটামিন সি-র সবচেয়ে ভাল উৎস লেবু। নিয়মিত মুসাম্বি কিংবা লেবু খেলে সেই প্রয়োজন মিটতে পারে।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ কিংবা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারই চোখের যত্নে কাজে লাগে। দুধ এবং দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক। দু’টি উপাদানই চোখের যত্নে জরুরি। দুধে যাঁদের অ্যালার্জি, তাঁরা কাঠবাদাম থেকে পাওয়া দুধও খেতে পারেন। তাতেও ভাল থাকে চোখ।