অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অপব্যবহার এবং ভুল ব্যবহারের কারণে অনেক ব্যাকটেরিয়া এই ওষুধগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। তাছাড়া অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। তাই ওষুধের প্রাকৃতিক বিকল্পগুলোর ব্যাপারে এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্বাস্থ্যসচেতনরা।
অনেক ঘরোয়া প্রতিকার এবং খাবার রয়েছে যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এই প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকগুলো প্রদাহ কমিয়ে আনবে এবং ভালো প্রতিরক্ষামূলক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বাড়াবে। প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে কোন কোন খাবার জেনে নিন।
১। আদা
একটি সেরা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার হচ্ছে আদা। এতে জিঞ্জেরল, টেরপেনয়েডস, শোগাওল, জেরুমবোন এবং জিঞ্জেরোনের পাশাপাশি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। আদা কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়ার অনেক প্রজাতির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে খাবারের পর চিবিয়ে খেতে পারেন আদা। এছাড়াও সালাদ এবং স্যুপের উপর ছড়িয়ে দিতে পারেন উপকারী আদা।
২। রসুন
রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন, যা কার্যকরভাবে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। রসুন সাধারণ এবং বিরল সংক্রমণের জন্য দায়ী প্যাথোজেনকে মেরে ফেলতে পারে। এটিতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি কাঁচা খাওয়া ভালো। তবে এটি পরিমিত খাবেন। রক্তপাতজনিত ব্যাধি যাদের আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তারপর খাবেন রসুন।