বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নারী-পুরুষ উভয়েরই মাথা গরম হতে পারে। আবার অনেকেই হুট করেই সব বিষয়ে মাথা গরম করে বসেন! তবে মাথা গরমের বিষয়ে নারী নাকি পুরুষ এগিয়ে আছেন, এ নিয়েও হয় অনেক সময় হয় যুক্তিতর্ক। তবে মাথা গরম তো সবাই করতে পারে কিন্তু তা কন্ট্রোলে রাখা খুবই মুশকিল।
সম্প্রতি মানুষের মস্তিষ্কের ওপর একটি গবেষণা করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে যে আমাদের মস্তিষ্কের তাপমাত্রা দিনে কয়েকবার বাড়ে এবং কমে। আর তার জন্য পুরুষদের তুলনায় নারীদের মস্তিষ্কের উষ্ণতা কিছুটা বেশি। নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর দেখা যায় পুরুষের তুলনায় গড়ে প্রায় ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম থাকে নারীর মস্তিষ্ক।
ব্রিটেনের একটি গবেষণা গোষ্ঠীর ব্রেইন জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্তিষ্কের তাপমাত্রা একদিনে অনেক গুণ কমে যায় এবং বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের তাপমাত্রা কম বা বেশি না হলে তা ভালো নয়। যদি একজন ব্যক্তির মস্তিষ্ক পুরোপুরি ঠিক থাকে, তবে তার তাপমাত্রা শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি থাকে। আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। (৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
একজন সুস্থ মস্তিষ্কের শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় মাথা অনেক বেশি গরম থাকে। আমাদের মস্তিষ্কের গড় তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শরীরের বাকি অংশের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আমাদের মস্তিষ্কের গভীর অংশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে।
গবেষকদের মতে, নারীদের মস্তিষ্ক পুরুষদের তুলনায় বেশি গরম হয়। মস্তিষ্কের একটি গভীর অংশে, পুরুষদের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে এই অংশের তাপমাত্রা ৪০.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। নারীদের মস্তিষ্কের তাপমাত্রা পুরুষদের তুলনায় গড়ে ০.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি। গবেষকরা মনে করেন এটি পিরিয়ডসের সঙ্গে সম্পর্কিত। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে একজন মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মস্তিষ্কের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে।