নাসিম রুমি: নারী-পুরুষ উভয়েরই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় মাথার দুই পাশ থেকে চুল পড়ে কপাল বড় হয়ে যেতে থাকে। এরপর মাথার মাঝ থেকে চুল পড়তে শুরু করে। এতে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যা মোকাবিলার উপায় আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে ছেলেদের চুল পড়ার মধ্যে অ্যান্ড্রোলজিস্ট হেয়ার লস হওয়ার হার বেশি। এই সমস্যা মোকাবিলার সুযোগ রয়েছে। প্রথমেই আমরা খাওয়ার ওষুধ দিয়ে থাকি। যেমন ফিনেস্টেরাইড জাতীয় খাবারের ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়ে থাকে। যেটা এই হেয়ার ফলের কনভারশন হেয়ার ফলিকল প্রিভেন্ট করে। যার ফলে দেখা যায় যে নতুনভাবে চুল গজাতে শুরু করে। এ ছাড়া চুলে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে বা লোশন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। সেগুলো ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলতে পারে। এর পাশাপাশি কিছু থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। যেমন—পিআপি থেরাপি। ওষুধ সেবন কিংবা থেরাপি নেওয়ার পরেও চুল পড়া বন্ধ না হলে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করা যেতে পারে।’
চুল পড়া প্রতিরোধে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনাও জরুরি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়তে পারে। চুল পড়া প্রতিরোধে চর্বিযুক্ত মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। চুল পড়া কমানোর আরেকটা উপায় হচ্ছে, চুলের গোড়ায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে চুলের ফলিকল উত্পাদন বাড়ে এবং চুল পড়া কমে।