আজকাল অল্পবয়সীদের শরীরেও দেখা দিচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। নানা অনিয়ম, ব্যস্ততা ভরা জীবনে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সচেতনতা জরুরি। কিছু নিয়ম মানলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল।
ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে লেবু পানি পান করুন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোয়েড যৌগ লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের সঙ্গে লড়াই করে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সকালের খাবারে মনোযোগী হোন। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সকালের খাবারে বেশি করে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। হোল গ্রেন, বেশি করে ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন। সঙ্গে ডায়েটে রাখুন ওট্স, কাঠবাদাম, তিসির বীজের মতো খাবার। ট্রান্সফ্যাট আছে এমন খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয় ব্রেকফাস্টে না খাওয়াই ভালো।
শুধু মেদ কমাতেই নয় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিম নয়। নিয়মিত হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো বা সাঁতারের মতো অভ্যাসও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রোজ সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করুন। এতে শরীরও ঝরঝরে থাকবে, কমবে কোলেস্টেরলও।
মানসিক চাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই মানসিক স্বস্তি পেতে ইয়োগা বা মেডিটেশন করতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মনকে শান্ত রাখা জরুরি।
কোলেস্টেরল থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর পর পরীক্ষা করানো জরুরি। এতে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সতর্ক থাকা সম্ভব। সতর্ক না হলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। কোলেস্টেরল বাড়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি তাই সবার আগে প্রয়োজন সতর্কতা।