দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে, যা অজান্তেই আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে ফেলছে। এই অভ্যাসগুলোর মাধ্যমে আমরা কেবল নিজেদেরই অসুস্থ করি না, বরং বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তাই সুস্থ থাকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। ছোট ছোট সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা বাড়িতেই যে সংক্রমণগুলো ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলোর ঝুঁকি কমাতে পারি।
জেনে নিন, আমাদের কোন অভ্যাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়-
বাইরের পোশাক পরে বিছানায় শুয়ে থাকা
সারাদিন ব্যবহারের পর আমাদের পোশাকে ধুলো, ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া জমে। আর যদি আমরা এই পোশাকগুলো পরিবর্তন না করেই বিছানায় শুয়ে পড়ি, তাহলে এই ময়লা ও জীবাণু বিছানায় স্থানান্তরিত হতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বাইরে থেকে আসার পর হাত না ধোয়া
বাইরে থাকার সময় আমরা অনেক জায়গা স্পর্শ করি, যার কারণে আমাদের হাতে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস জমে। বাড়ি ফিরে আসার পর যদি আমরা অন্য জিনিস স্পর্শ করি বা হাত না ধুয়েই খাবার খাই, তাহলে এই জীবাণুগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি ফিরে আগে হাত ধুয়ে হবে।
ভ্রমণ থেকে ফিরে বিছানার ওপর স্যুটকেস রাখা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্রমণের সময় অনেক ধরনের জীবাণু স্যুটকেসের বাইরের অংশে লেগে থাকতে পারে। যখন আমরা বাড়িতে এসে এই স্যুটকেসটি সরাসরি বিছানার ওপর রাখি, তখন এই জীবাণুগুলো বিছানার মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া
টয়লেট ব্যবহারের পর হাতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। তা না হলে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যার ফলে অনেক রোগ হতে পারে।
বাইরের জুতো ঘরের ভেতরে পরা
রাস্তায় হাঁটার সময়, জুতোর মাধ্যমে অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা আমাদের সঙ্গে ঘরে আসে। যদি আমরা ঘরের ভেতরে এই জুতো পরে থাকি, তাহলে ব্যাকটেরিয়া মেঝেতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।
এই অভ্যাসগুলোকে পরিবর্তন করে আমরা নিজেদের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের আরও ভালোভাবে যত্ন নিতে পারি। ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে জুতো খুলে ফেলা, হাত ধোয়া, কাপড় বদলানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হওয়া উচিত। তাহলে পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে।