কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনই কেউ মুখ বাড়ালে আগে নাকটাই এগিয়ে আসে। আর সেই নাক যদি হয় খাঁদা-বোঁচা, তাহলে কার আর ভালো লাগে? তাই নাকের শেপ ঠিক করে, সুন্দর করে মেকআপ করে নোজ রিং পরিয়ে সাজিয়ে তো দিতে হবেই।
নাকের মেকআপ
মুখের মেকআপ শুরুর আগে নাকের কন্টুরিং খুব দরকার। নাকের কন্টুরিং করার আগে খেয়াল করে দেখতে হবে, তোমার নাকের শেপ কেমন। নাকের শেপের ওপর নির্ভর করবে নাকের কন্টুরিং। নাকে কন্টুরিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাইলাইট করাও দরকার। কিন্তু কীভাবে করবেন রইল সেই পরামর্শই।
মুখের কন্টুরিং করার সময়ই নাকের কন্টুরিং করে নেবেন। এরপর বেস মেকআপের সময় ভালো করে নাকের কন্টুরিংয়ের দাগ ব্লেন্ড করে নিন যাতে নাকের দুই পাশে কালো দাগ বোঝা না যায়। কিন্তু ন্যাচারালিটি যেন থাকে। এবার নাকের মাঝের ব্রিজে ভালো করে হাইলাইটার অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
কোন নাকে কেমন নকশা
ফ্ল্যাট নাক : আপনার নাক যদি লম্বা-চওড়া হয়, তাহলে বুঝবেন ফ্ল্যাট নাক। এক্ষেত্রে নাকের ব্রিজের দুই পাশ দিয়ে সোজা নাকের টিপ পর্যন্ত কন্টুরিং করুন। আর নাকের ব্রিজের ওপর নাকের ঠিক মাঝখানে হাইলাইটার লাগান।
চওড়া নাক : অনেকের নাক খুব বড় আর চওড়া হয়। সেক্ষেত্রে দুই ভ্রুর এন্ডপয়েন্ট থেকে কন্টুর লাইন টানা শুরু করে, নাকের মাথায় এসে দাগটা মিলিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন, দুই পাশের নাকের ফুটোর উপরে এসে কন্টুরিং শেষ হবে। এতে নাকের চওড়া ভাবটা কেটে যাবে।
গোল নাক : অনেকের নাকের মাথাটা গোল টোপলার মতো হয়। তারা নাকের দুই পাশে ভ্রু যেখান থেকে শুরু হচ্ছে, সেখান থেকে কন্টুরিং লাইন শুরু করে নাকের মাথা পর্যন্ত আসুন। এবার নাকের মাথায় দুই পাশে দুটো ফার্স্ট ব্র্যাকেটের মতো দাগ টানুন। কন্টুরিং করার পর, নাকের দুই পাশের লাইনের মাঝের অংশে হাইলাইট অ্যাপ্লাই করুন। এবার মেকআপ ব্রাশ দিয়ে ভালো করে নাকের মেকআপটা ব্লেন্ড করুন। এতে নাক তো লম্বা দেখাবেই, সঙ্গে গ্লো-ও অ্যাড হবে।
নাকের মেকআপ তো হলো। এবার নাকের সাজসজ্জায় কেমন দুল পরতে পারেন তা নিয়ে কনফিউশন থাকতেই পারে। দেখে নেওয়া যাক, কত রকমের নোজ পিয়ার্সিং করা যায়।
► ছোট্ট হিরের নাকছাবি যে কোনো শেপের নাকেই ভালো মানাবে।
►যদি নাক হয় বড় ও চওড়া তাহলে পোশাকের সঙ্গে মানানসই কোনো রঙের স্টোন পরতে পারেন।
► লম্বা, টিকালো নাকে সিম্পল হুপ্স খুব ভালো মানাবে।
► ছোট্ট, পয়েন্টেড নাকে সিম্পল মুক্তো বা লুপ নোজ রিং পরতে পারেন, সুন্দর দেখাবে।
► নাকের শেপ যদি একটু বড় আর লম্বা হয়, তাহলে ফুলের মতো স্টাড মানাবে ভালো।
► ছোট্ট তিলতিলে নাকে লুপ-স্টাজ নোজ রিং পরবেন।
► এ ছাড়া সিম্পল সোনা বা রুপোর হুপ্স, বিডেড বালি নোজ রিং ফাঙ্কি লুকের জন্য যে কোনো শেপের নাকেই পরতে পারেন।
তাহলে নাক নিয়ে তো নানারকম জানা হলো! এবার তাহলে নাকের নকশা বদলের পালা। অন্যের ব্যাপারে নাক গলানোর আগে নিজের নাকটা সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। তবেই আপনি থাকবেন সকলের চেয়ে অনন্য।