অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা নাকের অ্যালার্জি হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। ধুলাবালি, ধোঁয়া, কিছু ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজাতীয় জীবাণু, ঠাণ্ডা-গরমসহ বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এর কারণ। সাধারণত শীতের শুরুতে এবং শেষের দিকে এটি বেশি হয়ে থাকে। তবে গরমের সময়েও তাপমাত্রার তারতম্য ও ধুলাবালির কারণে এটি বেড়ে যেতে পারে।
পরিবেশদূষণ যত বাড়ছে অ্যালার্জিজনিত এ সমস্যাগুলো ততই বাড়ছে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এটা বেড়ে যেতে পারে। এটা সাধারণত বংশগতভাবে মা-বাবার কাছ থেকে সন্তানদের মধ্যে আসতে পারে। তবে অনেক সময় পেশা ও পরিবেশগত কারণেও এটা হতে পারে।
উপসর্গ : অনবরত বা অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারো কারো আবার চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ চুলকায়, এ ছাড়া আরো অনেক উপসর্গও দেখা দেয়। এতে শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসে। কখনো কখনো মাথা ব্যথা, মাথা ভার ভার লাগা, কান বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
নিয়ন্ত্রণের উপায়
* ঠাণ্ডা খাবেন না, ঠাণ্ডা লাগাবেন না।
* কুসুম গরম পানিতে গোসল ও অজু করুন। শীতকালে কুসুম গরম পানি পান করুন।
* ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানীয়, বরফ আর আইসক্রিম খাওয়া যাবে না।
* ঘরের বাইরে বের হলে কিংবা ধুলাবালিময় পরিবেশে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
* দিনে এক থেকে দুইবার গরম পানির ভাপ নাক দিয়ে টানুন ও মুখ দিয়ে ছাড়ুন।
* সর্দি-ঠাণ্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ সাময়িকভাবে এড়িয়ে চলুন।
* বেশি গরমে কাজ করবেন না কিংবা একসঙ্গে টানা বেশি পরিশ্রম করবেন না।
* নির্দিষ্ট কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই খাবার পরিহার করুন।
* ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
* ঘরের চারপাশ খোলামেলা রাখুন ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ পরিহার করুন।
* সর্দি, হাঁচি, কাশির সঙ্গে সঙ্গে কান ও মাথা ব্যথা হলে দ্রুত কোনো একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. আলমগীর মো. সোয়েব
কনসালট্যান্ট, নাক, কান, গলা রোগ বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল