কেবল নখের সেবা গ্রহণের জন্য কেউ কেউ বিউটি পারলারে নিয়মিত হাজিরা দেন। আবার কেউ কেউ বাসাতেই কাজটি সেরে নেন নিজের মতো। কাজটি যেখানেই সম্পন্ন হোক, সবাই চায় এর স্থায়িত্ব।
যারা বাসায় নখের মেনিকিউর করতে চান, তারা প্রথম থেকে শেষ- পুরোটাতেই সচেতন থাকুন। ভালোভাবে প্রক্রিয়া বুঝে তবেই শুরু করলে সহজ হবে…
♦ নখে পলিশ থাকুক বা না থাকুক, নেইল রিমুভার ব্যবহার করে নিলে ভালো। তাহলে নেইল সারফেসে তেল বা ময়লা থাকলে পরিষ্কার হবে।
♦ আর নখের চারপাশ পরিষ্কার করার জন্য কাঠের চিকন কিউটিকল পুশার ব্যবহার করা যেতে পারে।
♦ নখ নিয়মিত কাটতে হবে। এখন অবশ্য বিভিন্ন শেপে নখ-নকশার চল বেড়েছে। বিশেষজ্ঞ মতানুযায়ী নখ বেশি বড় না করে মাঝারি আকারের রাখলেই ভালো।
♦ লম্বা নখের তুলনায় দৈর্ঘ্যে ছোট নখ কম ভাঙে। আবারযত্ন নেওয়াও সহজ। ময়লা কম জমে। সহজে পরিষ্কার করা যায়।
♦ পলিশ ব্রাশে ঠিক কতটুকু নেইল কালার নিলেই পুরো নখ রাঙানো যাবে, তা বুঝে ঠিক ততটুকু তুলে নিলে ভালো।
♦ মাত্র তিনবার ব্রাশ স্ট্রোকে পলিশ ব্যবহার সম্পন্ন করতে পারলে মসৃণ হবে প্রলেপ। দুই পাশ এবং মাঝবরাবর- এভাবে পুরো নেইল সারফেসকে তিন ভাগে বিভক্ত করে পলিশিং শেষ করা যায়। পরের ধাপে যাওয়ার আগে অন্তত ২ মিনিট অপেক্ষা করা চাই। তাড়াহুড়া করা যাবে না।
♦ নেইল কালারের পরে টপ কোট ব্যবহারের ধাপ আসে। এর মূল উদ্দেশ্য রাঙানো নখ সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা। এ সময় নখের টিপ এবং নখের শেষ অংশের দিকে আলাদা দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
মেনিকিউর শেষের পরবর্তী সময়টি যত্ন নেওয়ার। নেইল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে নিয়মিত। তাতে নখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার শঙ্কা কমবে। নখের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দুই-ই বাড়বে।