আজকাল ফ্যাশনেবল নারীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জেল নেইলপলিশ। তবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, প্রসাধনীটি হাত ও নখের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তারা জানান, জেলপলিশে এমন একটি রাসায়নিক পাওয়া গেছে যাতে ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিস্ট জানিয়েছে, জেল কিংবা জেলপলিশে বিভিন্ন মাত্রায় মেথাক্রিলেট নামে রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যার সংস্পর্শে শুধু আঙুলে নয় বরং শরীরের যে কোনো স্থানে তীব্র চুলকানি, ফুসকুড়ি হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই রাসায়নিকে ২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, সান দিয়েগোর গবেষকদের প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভুল ইউভি ল্যাম্প ব্যবহার করা মানে জেল পলিশের ক্ষতি থেকে ঠিকঠাক নিরাময় হবে না এবং এতে অ্যালার্জির আশঙ্কাও বেশি থাকে। এমনকি মানুষের ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী মিউটেশনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জেলপলিশ নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিস্ট জানিয়েছে, জেল পলিশ ব্যবহারকারীদের নখ পড়ে যাওয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি এবং এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্টের খবরও পাওয়া গেছে। এই প্রতিক্রিয়ার মূল কারণ- মেথাক্রাইলেট রাসায়নিক, যা জেলপলিশে পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অ্যালার্জি হওয়ার কারণ- নেইল এনহান্সমেন্ট, কৃত্রিম নখ ও কৃত্রিম চোখের পাপড়ির আঠা ব্যবহার করা।
যদি নখে জেলপলিশ বাড়িতে বসে বা কোনো অদক্ষ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব বিউটিশিয়ান এসব রাসায়নিক জাতীয় উপাদান নিয়ে কাজ করেন বা অন্যের হাতে এ ধরনের নেইলপলিশ বা কৃত্রিম নখ পরিয়ে দেন, তাদেরও অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জেল, জেল পলিশ হোম কিটস ব্যবহারে নারীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিকার কী?
ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন বিউটিশিয়ান এবং যারা নেইল এনহান্সমেন্ট কাজের সঙ্গে জড়িত। মেথাক্রিলেটযুক্ত নেইল পণ্যগুলো সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে না আনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় তাদের কাজ করার সময় নিট্রাইল গ্লাভস পরা এবং বাড়িতে ব্যবহার উপযোগী পণ্য বা হোম কিট ব্যবহারে সতর্ক হতে বলেছেন।