ওজন নিয়ন্ত্রণে কতজনই না কতকিছু করেন। কেউ ওজন কমানোর রেসে জয়ী হন তো আবার কেউ সফলতার মুখ সহজে দেখতে পান না। যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য শীতকালে ওজম কমানো হতে পারে কষ্টকর।
কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও এর প্রভাব পড়ে, সব মিলিয়ে শীতে ওজন কমার বদলে বেড়ে যায় বেশি। তাই এ সময় সবারই সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে সঠিক খাবার গ্রহণ ও শরীরচর্চা নিয়মিত করতে হবে।
যদিও ওজন কমানোর কোনো শর্টকাট উপায় নেই। তবে নিয়ম মেনে চললে খুব কম সময়েই ওজন ঝরানো যায় স্বাস্থ্যকর উপায়ে।
এরই মধ্যে যারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন, বিশেষ করে বিয়ের কনেরা যদি চটজলদি ওজন কমাতে চান তাহলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও শরীরচর্চার পাশাপাশি পান করতে পারেন আমলকির চা।
এটি ওজন কমাতে দারুন কার্যকরী। একই সঙ্গে এটি আপনার বিভিন্ন অসুখ থেকেও রক্ষা করবে।
আমলকি কীভাবে ওজন কমায়?
আমলকিতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে। বিশেষ করে এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ কারণে শীতে এই ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত সবারই। জানলে অবাক হবেন, ছোট্ট এই ফলে একটি কমলার চেয়েও বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।
বেশিরভাগ মানুষই এটি কাঁচা বা রস করে খান। তবে আপনি যদি ভেষজ চায়ের ভক্ত হন তাহলে আমলকি দিয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারবেন আমলা চা। এটি দ্রুত ওজন কমাতে ও বিপাকীয় হার উন্নত করতে সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমলার রস ও এর নির্যাস বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে দ্রুত ওজন কমে। তাছাড়া আমলায় থাকা ফাইবারের উপস্থিতি অন্ত্রের গতি কমাতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজম নিয়ন্ত্রণ করে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
নিয়মিত আমলা চা খেলে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে, কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।
কীভাবে ঘরে তৈরি আমলকি চা তৈরি করবেন?
আমলকি চা তৈরি করতে একটি পাত্রে ২ কাপ পানি গরম করুন। এতে ১ চা চামচ গ্রেট করা আদা, ২টি তুলসি পাতা ও ১ চা চামচ শুকনো আমলা গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন।
এরপর এটি ছেঁকে মধু ও এক চিমটি কালো মরিচ মিশিয়ে পান করুন। চাইলে মধু বাদও দিতে পারেন। এতে আরও বেশি উপকৃত হবেন।
এই চা আরও বেশি পুষ্টিকর বানাতে এতে মেশাতে পারেন আধা চা চামচ জিরার বীজ। এছাড়া আপনি যদি ডায়াবেটিক হন তাহলে মধু বা চিনি ছাড়া এই চা পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।