বাতাসে থাকা ক্ষতিকারক উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নেই কীভাবে আপনার ত্বক এইসব দূষণ থেকে দূরে থাকবে।
কাজের সময় পরিবর্তন করুন
সারাদিনের অফিস শেষে সন্ধ্যায় আবার কাজের জন্য বের না হয়ে আপনি ভোর বেলায় আপনার বাড়তি কাজ করে নিতে পারেন। কারণ সকালের বাতাসে দূষণের মাত্রা অনেক কম থাকে। যদি কাজের সময় পরিবর্তন করা সম্ভব না হয় তাহলে পার্ক অথবা খোলা জায়গা বেছে নিন। খোলা জায়গায় বাতাস বিশুদ্ধ থাকে।
ত্বক পরিষ্কার রাখুন
বাসায় ফিরে আপনি যতই ক্লান্ত থাকুন না কেন ভালোভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নিন। সারাদিন ধরে আপনার ত্বকে লেগে থাকা মেক-আপ, ময়লা, অতিরিক্ত তেল ও দূষণ নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই ঘুমাতে যেতে চাইবেন না। সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি বাইরে থাকা অবস্থাতেও একটু পর পর মুখ ধুয়ে নিতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠুন
আপনার ত্বকের কথা চিন্তা করে সকালে এক ঘণ্টা আগে বাসা থেকে বের হোন। অফিস টাইমে অনেক বেশি গণপরিবহন, রাস্তা-ঘাটের ধুলোবালি, যানবাহনের ধোঁয়া বাতাসকে অতিরিক্ত দূষিত করে দেয় তার প্রভাব আপনার ত্বকের ওপর পড়ে। দেরি না করে তাই আগেই বেরিয়ে পড়ুন।
শরীর ঢেকে রাখুন
আপনি বাসা থেকে বের হওয়া মাত্রই বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর কণাগুলো আপনার ত্বকের ওপর আক্রমণ করে। তাই ফুল হাতা জামা পরুন। এটি আপনাকে শুধু দূষণ থেকে রক্ষাই করবে না সাথে শীতের ফ্যাশনেও আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আর হ্যাঁ, অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পর্যাপ্ত পানি পান করা আপনার শরীর ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভালো। আপনি যত বেশি পানি পান করবেন আপনার শরীর তত বেশি হাইড্রেটেড থাকবে, আপনার ত্বকও আর্দ্রতা পাবে। সাথে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষণ বের হয়ে যাবে। হাইড্রেটেড থাকতে আপনি পানির পাশাপাশি ফলমূলও খেতে পারেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করুন
দূষণ থেকে বাঁচতে যথেষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি। কারণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিবেশের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সুন্দর ত্বকের জন্য টমেটো, গাজর, স্কোয়াশ, মিষ্টি আলু, মরিচ, সবুজ শাক খেতে পারেন। এগুলো আপনাকে ও আপনার ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখবে।