English

17 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

দিনের কোন সময়ে ফল খাওয়া উপকারী

- Advertisements -

নাসিম রুমি: ফলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে ফল খেতে হবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। তবেই ফলে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজগুলো শরীরের উপকারে আসবে।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দিনের শুরুতে ফল খাওয়া বেশ উপকারী। তবে খালিপেটে নয়, সকালের নাস্তার পর ফল খাওয়াই ভালো। কারণ সকালের খাবার খেয়ে পেট ভরে গেলে, ফল সেই খাবার হজম করতে সাহায্য করে। প্লেটভর্তি ফলের সঙ্গে বাদাম এবং বিভিন্ন রকমের দানাশস্য সকালের নাস্তা হিসেবেও ভালো।

সকালের নাস্তার পর ফল খাওয়া কেন উপকারী?

১) পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার ধরন হওয়া উচিত পিরামিডের মতো। দিনের শুরুতে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা দরকার। আর দিন যত এগোবে ততই হালকা খাবার খাওয়া উচিত। বেশ কিছু ফলে থাকে ডায়েটারি ফাইবার, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও সকালে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই সময় ফল খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছেও কমে।

২) পানির ঘাটতি হলেই হাজার রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। সকালের খাবারের পর পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ফল খেয়ে নিলে খুব বেশি ক্যালোরিও শরীরে প্রবেশ করে না, আর শরীরে পানির ঘাটতিও মেটে। শীতকালে এমনিতেই পানি কম খাওয়া হয়, তাই এমন মৌসুমে এই অভ্যাস বেশ উপকারী।

৩) সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাওয়ার মাঝে খিদে পেলে ফল দিয়েই পেট ভরাতে পারেন। কম ক্যালোরিযুক্ত কমলালেবু, কিউই, আপেল, পেয়ারা জাতীয় ফল খেলে পেটও ভরে আর খুব বেশি ক্যালোরিও যায় না শরীরে। তাই এই অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৪) শীতের মৌসুমে সংক্রমণ এড়াতে সকালের খাবারের পর নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মৌসুমি সংক্রমণ, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ঠেকাতে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৫) ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও ভিটামিন সি যুক্ত ফল হার্টের জন্য বেশ উপকারী। সকালের নাস্তায় এই ধরনের ফল খেতে পারেন। হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন