ভ্যাবসা গরমে নাজেহাল সবাই। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় শরীর থেকে প্রচণ্ড ঘাম ঝরছে। এর প্রভাব পড়ছে ত্বকেও। এক্ষেত্রে বাজারচলতি কুলিং ফেসমাস্ক কিনে ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু সেগুলিও রাসায়নিকে ভরা থাকে। ত্বক সুন্দর রাখতে এই সময় প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ঘরোয়া কুলিং ফেসপ্যাকে ভরসা রাখতে পারেন।
শসা এবং অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক: প্রথমে শসা ভালো ভাবে ধুয়ে ছাড়িয়ে নিন। তারপরে কয়েকটি ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ফেলে ব্লেন্ড করুন। এবার শসার পেস্ট একটি পাত্রে নিয়ে তার সঙ্গে যোগ করুন অ্যালোভেরা জেল। দুটি উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে বানান পছন্দের ফেসপ্যাক।
শসা ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখে। অন্যদিকে অ্যালোভেরার গুণে ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ঠিক থাকে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের টক্সিন বের করে দেয়।
গ্রিন টি এবং পুদিনা পাতা: এই ফেসপ্যাকটি খুব সহজেই বাড়িতে বানানো যায়। প্রথমে পুদিনা পাতাগুলি ভালো ভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। তারপর ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। এতে ঠান্ডা করে রাখা গ্রিন টি যোগ করুনি। দুই উপকরণ দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন।
তরমুজের পেস্ট : তরমুজ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও এই ফলের জুড়ি নেই। একটি পাত্রে কয়েক টুকরো তরমুজ বীজ ছাড়িয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডারে দিয়ে ঘন মিশ্রণ বানান। তৈরি হবে ফেসপ্যাক।
মধু এবং টক দই: একটি পাত্রে পরিমাণ মতো টক দই নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। তারপর কয়েক চামচ মধু যোগ করুন। দুই উপকরণ মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের ফেসপ্যাক। টক দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড, ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতাও ঠিক রাখে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের নিয়ম
প্রথমে মুখ ক্লিনজিং করুন। তারপরে ফেসপ্যাক নিয়ে সারা মুখে ধীরে ধীরে লাগান। এবার ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সঠিক উপকার পেতে সপ্তাহে মাত্র ১-২ দিন ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করুন। ত্বকে যদি কোনও সমস্যা থাকে কিংবা ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনও ফেসপ্যাক ব্যবহার করা ঠিক নয়।