ঋতুবদলের প্রভাব দেখা দেয় ত্বকেও। কারণ- ঋতুবদলে বদলে যায় ত্বকের স্বাভাবিকতা। শীতের বিদায় শেষে চলছে বসন্তকাল। দিনে খানিকটা গরম, তবে সন্ধ্যা নামলে ঠান্ডা অনুভূত হয়। এমন সময় পরিবর্তন আনতে হবে প্রতিদিনের রূপচর্চায়। সময় এসেছে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষার।
গরম আসার আগে ত্বকের যত্নে সঠিক উপাদান ব্যবহারে ত্বকের নানা সমস্যা সারিয়ে তোলা সম্ভব। এমিনেন্স অর্গানিক স্কিন কেয়ার তাদের এক প্রতিবেদনে কয়েকটি ভেষজ উপকরণের বিস্তারিত তুলে ধরেছে। নিচে সেগুলো দেখানো হলো-
কুমড়ো : খাবারের পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রূপচর্চায়ও ব্যবহার করা যায়। এর এনজাইম, বিটা-ক্যারোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে চমৎকার কাজ করতে পারে। ত্বকে বলিরেখা থেকে বাঁচায় কুমড়ায় থাকা ভিটামিন এ, সি ও ই উপাদানগুলো। বেস্ট হেল্থ ম্যাগাজিন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমড়োর মাস্ক ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারি। একে ত্বকের সুপার-ময়েশ্চারাইজারও বলা হয়।
প্যাক : মিহি করে পেস্ট করা দেড় কাপ কুমড়ো ও ১ কাপের চার ভাগের ১ ভাগ পরিমাণ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ মধু এবং ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে।
মিষ্টি আলু : শতাব্দীর পর শতাব্দী এশিয়ার অঞ্চলগুলোয় মেয়েদের রূপচর্চায় মিষ্টি আলু ব্যবহার হয়ে আসছে। পিটসবার্গ বিউটি এক্সামিনার-এর বিউটি ব্লগার সারাহ আফশার বলেন, মিষ্টি আলু যে কোনো ত্বকের জন্য উৎকৃষ্ট পাথেয়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ। যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের পিগমেন্টেশন এবং সূর্যের ক্ষতি সারাতে পারে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ত্বকের লালচে ভাব কমে এবং উজ্জ্বল হলুদ আভা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল।
যষ্টিমধু : যষ্টিমধু বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এটি মূলত গাছের শিকড়। এটি রোদে পোড়া ও পিগমেনটেশন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রেখে সতেজতা ফিরিয়ে দেয়। এ ছাড়াও এর এম্যান্ডেলিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ ও ময়লা দূর করতে পারে। ত্বক দেখায় তারুণ্যদীপ্তময়।
প্যাক : যষ্টিমধুর গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল, চন্দন গুঁড়া, সামান্য কমলা বা লেবুর রস ও টকদই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিটের জন্য। সপ্তাহে অন্তত একবার এ ফেসমাস্কটি ব্যবহার করুন।