দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিন শত-শত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু। সাধারণত শিশুরা রোগের লক্ষণগুলো সঠিকভাবে বলতে পারে না বলে ঝুঁকি বেশি হয়। আর ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সামান্য অবহেলায় শিশুদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এ জন্য অভিভাবকদের বাড়তি সতর্ক থাকবে হবে।
শিশু জ্বরে আক্রান্ত। কখনও শিশুর শরীরে ১০২ ডিগ্রির উপর জ্বর দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, শরীরে ব্যথার উপসর্গ থাকছে না। তবুও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে- শিশুর আদৌ ডেঙ্গু কি না?
শিশুর জ্বর আসার পর অভিভাবকরা একটি ভুল করে থাকেন। তারা চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে দুই-তিন অপেক্ষা করেন। এরপর যখন চিকিৎসকের কাছে যান, তখন শিশুর শারীরিক জটিলতা বেড়ে যায়। আর এই দুই-তিন দিনে শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তার অবস্থা ভয়াবহ রূপ নেয়। প্লাজমা লিকেজ হয়, রক্তচাপ নেমে যায়। একদমই খেতে পারে না। যেটি খুবই খারাপ লক্ষণ।
মোটামুটি ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো হলো- তীব্র জ্বর, জ্বরের সঙ্গে ঘাড়, গা, হাত-পা ব্যথা করে। অন্যান্য জ্বরে শিশুদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরে রক্তচাপ নেমে যায়। সমস্যা হলো শিশুদের রক্তচাপ খুব সহজে মাপা যায় না। কারণ, সবার বয়স সমান নয়, সবার উচ্চতা সমান নয়, সবার ওজন সমান নয়। তাই সবার জন্য রক্তচাপ সমান হয় না।
রক্তচাপ ঠিক না থাকলে রোগী খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে। এর ফলে রোগীর শরীরের ভেতরে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রক্তক্ষরণ হবে, যেটি বাইরে থেকে দেখা যায় না। দ্রুতই শিশুর অবস্থা খারাপ হবে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এ জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব ডেঙ্গু নিশ্চিত হতে হবে। এরপর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু এলাকার ফার্মেসি থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ কিনে খাওয়ালে বিপদ আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই সময় মতো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তার পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করেত হবে।