ডায়াবেটিসের রোগী এখন সব ঘরে ঘরেই! রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সমস্যাকেই ডায়াবেটিস বলা হয়। জীবনযাত্রা পরিবর্তন ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ডায়াবেটিস।
তবে দৈনন্দিন জীবনের নানা কর্মকাণ্ডে অজান্তেই হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস। এজন্য কোন কোন খাবার, পানীয় বা অভ্যাস ইনসুলিনের বৃদ্ধি ঘটায় তা সবারই জানা জরুরি-
সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার! ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, সকালের খাবার বাদ দিলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।
রোদে পোড়া
সিডিসির তথ্যমতে, খুব বেশি রোদ গায়ে লাগালেও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীর গায়ে বেশি রোদ লাগলে সানট্যান ও এর থেকে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। তাই রোদে বের হওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে।
কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। তবে সিডিসি বলছে, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কফি পানে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত কফি এড়ানো।
অপর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ শরীর ও মনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। সিডিসির তথ্যমতে, রাতে অপর্যাপত ঘুম শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।
মাড়ির রোগ
আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালের একটি নিবন্ধ অনুসারে, মাড়ির রোগ একজনের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। মাড়ির রোগকে বলা হয় ‘পিরিওডোনটাইটিস।
রিপোর্ট অনুসারে, দীর্ঘমেয়াদী রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। পরবর্তী সময়ে এর থেকে নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়ে।
পানিশূন্যতা
শরীরে অপর্যাপ্ত পানিও উচ্চ রক্তে শর্করার কারণ হতে পারে। এর থেকে ডিহাইড্রেশন হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। সিডিসি ব্যাখ্যা করে, শরীরে কম জল মানে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি।
উচ্চ রক্তে শর্করার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। যা গুরুতর ডিহাইড্রেশনের অন্যতম লক্ষণ।
কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণ
যদিও কৃত্রিম সুইটনারগুলোকে পরিশোধিত চিনির চেয়ে ভালো বলা হয়, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তা সেরা নয়।
যদিও এর খারাপ প্রভাব নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে সিডিসি বলছে, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম মিষ্টি রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে।