অনেকেই আছেন যাদের ডাল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। চিকিৎসকদের মতে, সবার শরীর একরকম নয়। তাই কিছু শারীরিক অবস্থায় ডাল খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে।
যাদের ডাল খেতে মানা
কিডনি রোগী
ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির ওপর চাপ ফেলে। তাই তাদের ডাল খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত, কিংবা একেবারে না খাওয়াই ভালো।
ইউরিক এসিড বেশি হলে
ডাল বিশেষ করে মসুর, মুগ বা ছোলার ডালে পুরিন নামক যৌগ থাকে, যা শরীরে গিয়ে ইউরিক এসিড তৈরি করে। যাদের গেঁটে বাত বা ইউরিক এসিডের সমস্যা আছে, তাদের ডাল খেলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
পেটের গ্যাস ও এসিডিটি
ডালে ফাইবার বেশি থাকায় কারো কারো হজমে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত গ্যাস, এসিড রিফ্লাক্স বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থাকলে ডাল খাওয়ার পর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগী
ডালে কার্বোহাইড্রেটও থাকে। যদিও এটি ধীরে হজম হয়, তবুও ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে পরিমিত ডাল খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে রাতে বেশি ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন
ডালে ক্যালরি থাকে। ডায়েটে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তিরা ডালের পরিমাণে নজর দিন।
কী করবেন
- চিকিৎসকের পরামর্শে খাদ্যতালিকা তৈরি করুন।
- নির্দিষ্ট ডালের পরিবর্তে অন্য উৎস থেকে প্রোটিন নিন, যেমন ডিম, দুধ, বাদাম ইত্যাদি।
- ডাল খেলে শরীর কেমন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে, নজরে রাখুন।
ডাল অবশ্যই পুষ্টিকর, কিন্তু যা খুশি তাই খাওয়ার যুগ শেষ। নিজের শরীর বুঝে খাবার বেছে নিন। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খাবার তালিকায় ডাল রাখুন।