আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ডাল দিবস। বিশ্বব্যাপী খাদ্য হিসেবে ডালের গুরুত্ব তুলে ধরতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও বিশ্ব ডাল দিবস হিসেবে দিনটিকে ঘোষণা করেছে। ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে বাংলাদেশে এ বছরই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো, ’টেকসই আগামীর জন্য ডাল।’
আমাদের সার্বিক সুস্থতার জন্য পাতে ডাল রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। শুকনো মটরশুঁটি, মসুর, মুগ, শুকনো মটর, ছোলাজাতীয় ডাল আমিষের দারুণ উৎস। যত ধরনের উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আমিষ পাওয়া যায়, তার মধ্যে ডাল অন্যতম। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান ট্রেসি পার্কার জানান, যাদের হৃদরোগ আছে তাদের জন্য নিয়মিত ডাল খাওয়া খুবই জরুরি।
ডালের উপকারিতা
ডালে প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি, চর্বি কম এবং দামেও সস্তা। ফলে অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে ডাল। অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করে ডাকজাতীয় খাবার।
কম অস্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখার একটি দুর্দান্ত উপায় হচ্ছে নিয়মিত ডাল খাওয়া। ডাল খেলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করার ক্ষেত্রে মাংসের মতোই কাজ করতে পারে ডাল। ডাল হলো সর্বোচ্চ ফাইবার ফুডগুলোর মধ্যে একটি। ডালের মাত্র এক অংশ আপনার সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবারের প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রদান করে। এর মানে তারা হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ডালের প্রোটিন এবং ফাইবারের মিশ্রণের কারণে তারা ধীরে ধীরে হজম হয়, আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সহায়তা করে।
তবে ডালের প্রোটিন ‘সম্পূর্ণ প্রোটিন’ নয়। অর্থাৎ উদ্ভিজ্জ আমিষে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সব কটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে না। তাই উদ্ভিজ্জ আমিষের সঙ্গে শস্যের মিশ্রণ ঘটাতে পারেন, যাতে আবার ওই অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা ডালে নেই।
ডালে থাকা পটাশিয়াম, জিঙ্ক, বি-ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের সুস্থিতার জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তবে পাশাপাশি খেতে হবে প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং কিছু গোটা শস্য।