ওজন কমাতে কমবেশি সবারই চেষ্টা থাকে। কারণ অতিরিক্ত ওজন শুধুমাত্র ব্যক্তিত্ব এবং আত্মবিশ্বাসকে প্রভাবিত করে না, এটা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। ওজন বাড়লে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো রোগের ঝুঁকি থাকে। এ কারণে অতিরিক্ত ওজন কমানো ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
কেউ কেউ ওজন কমাতে ব্যায়াম, ডায়েট করেন। কিন্তু তারপরেও কোনো কাজ হয়। এর ফলে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। অনেকের হয়তো জানা নেই দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে দৈনন্দিন বেশ কিছু অভ্যাস দায়ী।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ শিল্পী গুপ্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেহের ওজন বাড়ার জন্য ৫টি খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত অভ্যাসের কথা তুলে করা হয়েছে। যেমন-
সকালের নাশতা এড়িয়ে যাওয়া: অনেকেই তাড়াহুড়োয় সকালের নাশতা এড়িয়ে চলেন। কেউ কেউ আবার ক্যালোরি কমানোর জন্য সকালের নাশতা বাদ দেন। কিন্তু সকালের নাশতা সারাদিনের শক্তি জোগায়। এ কারণে সকালের নাশতা এড়িয়ে গেলে সারাদিন আপনার ক্ষুধা অনুভূত হবে। তখন না চাইলেও আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন। এতে ওজন বেড়ে যাবে। এ কারণে সকালের নাশতায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
বেশি রাতে খাওয়া : অনেকেরই বেশি রাত করে খাওয়ার অভ্যাস আছে। কেউ কেউ খাওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে ওজন বাড়ার প্রবণতা বাড়ে।। রাতে খাবার সন্ধ্যা৭-৮ টার মধ্যে করা উচিত। খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটা উচিত। তাহলে বিপাকক্রিয়া ভালো হবে এবং স্থূলতা সমস্যা কমবে।
শারীরিক কার্যকলাপ না করা: আজকাল অনেকেই এক জায়গায় বসে কাজ করেন এবং সারাদিনে কোনও ধরনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করে না। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি-সহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। এ কারণে ফিট থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও, অফিসে কাজ করার সময় কিছু সময় বিরতি নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা উচিত।
খুব বেশি বাইরের খাবার খাওয়া: অনেকেই সারা সপ্তাহ ডায়েটে থাকলেও সপ্তাহের একদিন বাইরের খাবার বা ভাজাভুজি খান। এটা শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
নিয়মিত দেহের ওজন পরীক্ষা না করা: অনেকেই নিয়মিত দেহের ওজন মাপেন না। এ কারণে নিজের ওজন বাড়ছে না কমছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পান না। যদি নিয়মিত দেহের ওজন পরীক্ষা করেন, তাহলে আপনাকে ওজন কমাতে অনুপ্রাণিত করবে।