সকাল আর রাতে নিয়ম করে দাঁত মাজছেন। এটুকু নিশ্চয়তা পাওয়া গেলো আপনার দাঁত সুস্থ থাকবে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার টুথব্রাশ থেকে দেহে অন্যান্য রোগ ছড়াতে পারে? চলুন জেনে আসি সতর্কতাগুলো:
- টুথব্রাশে প্রচুর মাইক্রোঅর্গানিজমের বাস। বিশেষত মুখের ভেতরেই ব্রাশ করার সময়ে সেগুলো থাকতে পারে। ব্রাশ করার পর এই জীবাণুগুলো ব্রাশে স্থানান্তরিত হয়। বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না শুরুতে। তবে ব্রাশ এক বা দুই মাস পুরাতন হলেই বদলে ফেলা ভালো।
- দাঁত মাজার সময় বিশেষত ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহারের সময় জীবাণু আপনার মাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। তাই ব্রাশ ব্যবহারে হতে হবে সতর্ক।
- অধিকাংশ টয়লেটে সিংক কিংবা বেসিনের পাশে টয়লেট ফ্লাশ অবস্থান করে। আপনার ব্রাশ যেন সেদিকে না রাখা হয় খেয়াল রাখবেন। যখনই আপনি ফ্লাশ করবেন তখনই বাতাসে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়৷ আর ব্রাশে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করা মোটেও ভালো কিছু নয়।
- অনেকেই টুথব্রাশ হোল্ডার ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, টুথব্রাশ হোল্ডার থেকে ব্রাশে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
- দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। দাঁত মেজেই টুথব্রাশ কোনায় রেখে দেবেন না। এমনকি টুথব্রাশ সোজা করে রাখার চেষ্টা করুন। অনেকেই টুথব্রাশ পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে রাখেন। এটি মোটেও ভালো কিছু নয়।
- পাশাপাশি একাধিক টুথব্রাশ রাখবেন না। কারণ এক টুথব্রাশ থেকে আরেকটিতে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালে ডুবিয়ে রাখলে কিছু ব্যাকটেরিয়া দূর করা সম্ভব।