পেটের মেদ কমানো পৃথিবীর কঠিন কাজের মধ্যে একটি বললে ভুল হবে না। এমনকি কঠোর ডায়েট অনুসরণের পরেও শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ কমলেও পেটের মেদ কমে না। পেটের মেদ থাকলে সৌন্দর্য যেমন ঘাটতি হয় তেমনি নিজের চেহারাও দেখতে বিশ্রী। তবে বাড়িতে কিছু বিষয় নিয়ম অনুযায়ী মেনে চললে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় অর্থাৎ পেটের মেদ কমানো যায়।
লেবু পানি:
সকালের শুরুতে মন মেজাজাকে সতেজ রাখতে আমরা ক্যাফেইন গ্রহণ করি। পেটের চর্বি কমাতে সকালে এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে লেবু যাদুকরী কাজ করে। লেবুতে যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা শরীরের জন্য অনেক ভালো। শধু লেবু পানি খেতে সমস্যা হলে সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
জিরা পানি:
পেটের মেদ কমানোর জন্য সকালের আরেকটি পানীয় হলো জিরা পানি। জিরা পানি শুধুমাত্র হজমেই সহায়তা করেনা পেটের মেদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সকালের নাস্তায় প্রোটিন রাখা:
প্রোটিন শরীরের শক্তির অন্যতম উৎস। সকালে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে তা সারাদিন শরীরে জ্বালানির মত কাজ করে। অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। রক্তা শর্করা ও ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া:
এই খবারগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পুষ্টি যোগানের পাশপাশি এই খাবারগুলো বেশি ক্যালোরির খাবার গ্রহণে শরীরকে নিরুৎসাহিত করে। এতে করে শরীরের ওজন কমবে পাশাপাশি পেটের মেদও কমবে।
হলুদ গুড়া:
রান্নায় আমরা কম বেশি হলুদ ব্যবহার করি। হলুদ একদিকে যেমন ওজন কমায় তেমনি ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রেণে রাখে।
ইয়োগা:
স্ট্রেস শরীরে ক্ষুধার পরিমাণ বাড়াতে পারে। এতে করে হাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য মানুষ বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে। চিন্তা মুক্ত থাকতে প্রতিদিন বাড়িতে ইয়োগা করতে হবে।
পানি:
ওজন কমাতে পানির কোন বিকল্প নেই। পানি একদিকে শরীর হাইড্রেট করে সেই সাথে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ দূর করে। খাওয়ার আগে পানি খেলে খাবারও কম খাওয়া যায়।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন