পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনি এর খোসাও খুবই উপকারী! আসুন জেনে নেওয়া যাক, ডিমের খোসার কয়েকটি আশ্চর্য গুণাগুণ সম্পর্কে –
* সাধের ফুলের বাগানে পোকার উপদ্রবে গাছ নষ্ট হচ্ছে? গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকা-মাকড় গাছের ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।
* কফির তিক্ত ভাব কমাতে কফির সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়ো এক চিমটে মিশিয়ে দিন। কফি গুলিয়ে নেওয়ার পর একটু সময় দিন। ডিমের খোসার গুঁড়ো থিতিয়ে নিচে পড়ে যাবে আর কফির তিক্ত স্বাদও অনেকটাই কমে যাবে।
* ১টা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে একটা বা দু’টো ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এ বার ওই প্যাক মুখে ১৫ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে উষ্ণ জল দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন! এতে ত্বকের কালচে ভাব কেটে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত! এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে সপ্তাহে ২ বারের বেশি নয়।
* জয়েন্ট পেইন কমাতে একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে অন্তত ২-৩ দিন রেখে দিলে দেখবেন, ডিমের খোসাগুলো ভিনিগারের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে চাপ দিয়ে মালিশ করুন। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনিগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।