ত্বকের যত্ন কিংবা সৌন্দর্যচর্চা শব্দগুলো যেন শুধু নারীদের জন্যই সংরক্ষিত। অনেক পুরুষও ভাবেন এমনই। সাধারণভাবে অনেকেই বলবেন, সাজগোজ বা রূপচর্চা সে তো মেয়েদের বিষয়। অথচ ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং সাজগোজ একেবারেই আলাদা। কারণ, ছেলেদেরও ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, এ বিষয় অনেকেই এখন অনুধাবন করতে পারেন। অনেকেই ধীরে ধীরে আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠছেন। কারণ, ছেলেদের ত্বক এমনিতেই বেশি রুক্ষ। তাই তাদের ত্বকের সমস্যাও বেশি।
ছেলেরা নিখুঁত শেভিংয়ের জন্য দাড়ির উল্টো দিক থেকে রেজার চালায়; যা উচিত নয়। কারণ এতে ব্লেডের আঘাতে চামড়া কেটে যেতে পারে। পাশাপাশি ত্বকের লোমকূপের ক্ষতি হতে পারে।
শুষ্ক ত্বকে শেভ নয়। শুষ্ক ত্বকে শেভ করার সময় ব্লেডের ঘর্ষণে চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একই স্থানে রেজারের ঘর্ষণে ত্বকের চামড়া, ব্রণ ও ‘ইনগ্রৌন হেয়ার’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
ত্বক ভালো রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি এবং নন-কমিডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার লোশন ভালো। কারণ ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের লোমকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অনেকে ব্রণের স্থানে বারবার হাত দেন। এমনটি একদমই করবেন না। এতে হাতে লুকানো ব্যাকটেরিয়া ব্রণের সঙ্গে মেশে। ফলে সমস্যা বাড়তে পারে।
ছেলেদের ব্রণ কম হয়- এমন পণ্য ব্যবহার করা উচিত। সে ক্ষেত্রে নন-কমিডোজেনিক প্রসাধন ব্যবহার করলে সমস্যা থাকবে না। এ ছাড়া ব্রণ দূর করতে ‘নন-কমেডোজেনিক ক্লেনজার’ বেশ কার্যকর।
ত্বকের যত্নে তাড়াতাড়ি ফল পাওয়ার জন্য বার বার প্রসাধন বদল করা উচিত নয়। কারণ ছেলেদের ত্বক কিছুটা পুরু- তাই কাজ করতে সময় নেয়।
ছেলেরা সাধারণত সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন না। তবে সানস্ক্রিন সব সময় ব্যবহার করা উচিত। কেননা দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব রাখতে পারে।
ছেলেদের অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করে। কিন্তু তা শুধু মুখের জন্য। মনে রাখতে হবে, ছেলেদেরও শরীরের অন্য অংশ যেমন- হাত, কাঁধ, পা খোলা থাকে যেখানে সূর্যের তাপ লাগে।
ত্বকের ডেড-সেল সরানোর জন্য এক্সফলিয়েশন খুবই জরুরি। তবে সে ক্ষেত্রে ছেলেদের তা হতে হবে সপ্তাহে অন্তত দুবার। এর বেশি একেবারেই নয়।