টানা কম্পিউটারে কাজ করা, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে বা টিভি দেখেই দিনের বেশির ভাগ সময় পার হচ্ছে। চোখের পলক ফেলার কথাও ভুলে যাই। যার ফলে আমাদের চোখ ক্লান্ত এবং শুষ্ক হতে পারে। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে চোখ লাল হয়ে পানি পড়ে, চোখে আর ঘাড়ে ব্যথার সঙ্গে চোখে চুলকানি ও চোখে করকর করা ভাব থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল থেকে বের হওয়া নীল রশ্মির কারণে চোখে শুষ্কতা দেখা দেয়। এই সমস্যার নাম ‘সিভিএস’ অর্থাৎ কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম। এই ব্যাপারটা খুব গুরুতর নয় ঠিকই কিন্তু টানা এ ধরনের সমস্যায় দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে মোবাইল বা ল্যাপটপের মতো অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার সময় কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এটি চোখের শুষ্কতা দূর করতে এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে।
চোখ যেন শুকিয়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে যা করতে হবে-
- অনেকে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় চোখের পলক ফেলতে ভুলে যান। স্ক্রিনের দিকে তাকানো শুষ্কতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এ কারণে চোখ সুরক্ষিত রাখতে, বারবার চোখের পলক ফেলুন।
- ফ্রন্ট বড় করে কাজ করার অভ্যাস করলে চোখে চাপ কম পড়বে
- চোখের ও ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
- প্রতিবার চোখ ধোয়ার পরে অবশ্যই ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
- রাতে আন্ডার আই ক্রিম লাগিয়ে ঘুমাতে যান
- কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা স্মার্টফোনের পর্দার ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্টে সামঞ্জস্য রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। বাক্য ভালোভাবে পড়ার মতো করে ব্রাইটনেস সেট করতে হবে
- কম্পিউটারে কাজ করলে বা বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে চোখের ব্যায়াম করে নিন। চোখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে খুলে দৃষ্টি চারপাশ ঘোরাতে থাকুন
- ১০ সেকেন্ড দু’হাতের তালু ঘষে চোখের বন্ধ পাতার ওপর ১০ সেকেন্ড রাখুন
- সূর্যের ক্ষতিকারক আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ও ধুলা থেকে রক্ষা পেতে চশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করুন
- এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে না থেকে মাঝে মাঝে চোখের পাতা পড়তে দিন। এতে চোখ পরিষ্কার ও পিচ্ছিল থাকবে
- ক্লান্তি কাটবে এবং চোখের তলার কালি কমাতে আলু বা শসা গ্রেট করে চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট রাখুন
- প্রচুর পানি পান করুন ও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ এবং ডি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন
- চোখের সুরক্ষায় ২০ মিনিট পর পর চোখকে অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য বিশ্রাম দিতে হবে
যদি চোখ অনেক বেশি শুকিয়ে যায় অথবা চোখে কোনো সমস্যা হয়, কখনোই অবহেলা করা যাবে না। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।